টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম সংস্করণ শুরু হতে আর কয়েক দিন বাকি। ১ জুন আমেরিকা এবং কানাডার ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু হবে। এ বার আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ় বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। বেড়েছে দলের সংখ্যা। নিয়মও বদলেছে কিছু কিছু।
দলের সংখ্যা
আগে খেলত ১৬টি দল। তা এ বার বাড়িয়ে ২০ করা হয়েছে। ফলে অনেক অখ্যাত দেশও খেলার সুযোগ পেয়েছে। যেমন আফ্রিকা থেকে খেলতে পারছে উগান্ডা। তারা প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলছে। একই কথা প্রযোজ্য পাপুয়া নিউগিনির ক্ষেত্রেও।
বিশ্বকাপের ফরম্যাট
২০টি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে পাঁচটি করে দল। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে এক বার করে ফেলবে। পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রতিটি গ্রুপের প্রথম দু’টি দল সুপার এইটের যোগ্যতা অর্জন করবে। সেখানে আটটি দলকে দু’টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। সেখানেও একটি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের সঙ্গে এক বার করে খেলবে। সেখানেও প্রথম দু’টি দল সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করবে। সেমিফাইনালে জয়ী দুই দল ফাইনালে খেলবে।
ম্যাচ টাই হলে বা ভেস্তে গেলে কী হবে?
যে কোনও ম্যাচের ক্ষেত্রেই টাই হলে সুপার ওভার খেলা হবে। তাতেও নিষ্পত্তি না হলে আর একটি সুপার ওভার খেলা হবে। সব টাই ম্যাচের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম।
গ্রুপ পর্ব বা সুপার এইটের কোনও ম্যাচ আবহাওয়ার কারণে সম্পূর্ণ না করা গেলে, বিজয়ী ঠিক করার জন্য প্রতিটি দলকে অন্তত পাঁচ ওভার করে খেলতে হবে। নক আউট ম্যাচের ক্ষেত্রে দুই দলকেই অন্তত ১০ ওভার করে খেলতে হবে।
সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের ক্ষেত্রে বৃষ্টি হলে অতিরিক্ত ১৯০ মিনিট অপেক্ষা করা হবে। তার মধ্যে ম্যাচ শুরু করা গেলে পুরো ২০ ওভারই খেলা হবে। প্রথম সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে ক্ষেত্রে রিজ়ার্ভ ডে থাকলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেই।