রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই! আক্রান্তরা কী খেয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন?

পশ্চিমবঙ্গের জেলায় প্রতি দিন বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ১,২০৯ জন। এর মধ্যে চলতি মাসেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭০০ জন। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও এই জ্বরে প্রাণ যাচ্ছে বহু লোকের।

ডেঙ্গি হলে রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা কমে যায়। সেই সঙ্গেই ডায়রিয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন হয়। এই রোগে শরীরে প্রচুর জলের প্রয়োজন। ডেঙ্গি হলে তাই বাচ্চা, প্রাপ্তবয়স্ক সকলেরই ডায়েটে প্রচুর পরিমাণে জল বা তরল খাবার রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়া খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখলে দুর্বলতা খানিক কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ডেঙ্গি জ্বরে আক্রান্ত হলে ডায়েটে কী রাখবেন, রইল সে হদিস।

১) পেঁপে পাতার রস

পুষ্টিবিদদের মতে, পেঁপে পাতার রস রক্তে অনুচক্রিকার সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। ডেঙ্গির প্রকোপে শরীরে অনুচক্রিকার মাত্রা অস্বাভাবিক হারে হ্রাস পায়। পেঁপে পাতার রস বানিয়ে জলের সঙ্গে মিশিয়ে দিনে তিন থেকে চার বার খেতে পারলেই রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা স্বাভাবিক হয়।

২) কিউয়ি

চিকিৎসকদের মতে, ডেঙ্গি হলে কিউয়ি ফল খাওয়া খুব স্বাস্থ্যকর। এই ফল রক্তে অনুচক্রিকার মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

৩) বেদানা

প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে বেদানায়। ফলে দেহের শক্তি বাড়ে, অনুচক্রিকার সংখ্যা বাড়াতেও সাহায্য করে এটি।

ডেঙ্গি থেকে সেরে উঠতে খাওয়া যেতে পারে বেদানা।

৪) দই

ডেঙ্গি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই দৈনন্দিন খাবারে এই সময়ে দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক রাখা জরুরি। এর ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, ‌শরীর ডিটক্সিফাই হতে সাহায্য করে।

৫) ডাবের জল

ডেঙ্গিতে জ্বরের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসাবে শরীরে জলের ঘাটতি হয়। তাই এই সময় ডাব ‌বা নারকেলের জল খেতে হবে। এতে দেহে জলের ঘাটতিও মেটাবে, আবার পুষ্টিগুণ ও বিভিন্ন ইলেক্ট্রোলাইটে সমৃদ্ধ এই নারকেলের জল দৈহিক শক্তিও বাড়াবে।

৬) ব্রকোলি

ব্রকোলিতে প্রচুর পরিমাণে থাকে ভিটামিন কে, যা অনুচক্রিকা পুনরুৎপাদনে সাহায্য করে। অন্যান্য পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ ব্রকোলি। এই সময়ে রোজের ডায়েটে এই সব্জি রাখতেই হবে।

ডেঙ্গি হলে ডায়েটে এই খাবারগুলি রাখতে পারলে রোগীর অবস্থার উন্নতি হয় ঠিকই, তবে শরীরে জলের অত্যধিক ঘাটতি হয়ে গেলে বা অণুচক্রিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকখানি কমে গেলে কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.