মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে, দাবি করে ২০২৫ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির হারেরও আভাস দিল নির্মলার আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট

বাজেটের আগে সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লোকসভায় আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট পেশ করলেন। সেই রিপোর্ট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতির পর একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল দেশের অর্থনীতি। তবে বর্তমানে দেশের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে।’’

রিপোর্টে বলা হয়েছে, শেষ অর্থবর্ষে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ আশা করা হয়েছিল। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) মুদ্রাস্ফীতির সূচক ৪.৫ শতাংশ স্থির করেছে। দেশের মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় অর্থনীতি একটি শক্তিশালী স্তম্ভ। ভূ-রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিকা করে অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল।’’ সমীক্ষা পেশের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘‘শেষ অর্থবর্ষের চারটি ত্রৈমাসিকের মধ্যে তিনটিতেই আর্থিক বৃদ্ধি ছিল ৮ শতাংশের বেশি। ২০২৩ এবং ২০২৪ অর্থবর্ষে উপর ভিত্তি করে তৈরি হওয়া অর্থনৈতিক বৃদ্ধি আগামী বছরেও দেখা যাবে।’’

মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হলেও সমীক্ষায় খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০২৩ অর্থবর্ষে এ ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৬.৬ শতাংশ। ২০২৪ অর্থবর্ষে সেটা বেড়ে ৭.৫ শতাংশ হয়। কেন মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পেল? রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে খাদ্য উৎপাদনে প্রভাব পড়েছিল। কৃষকেরা কৃষিকাজ করতে গিয়ে প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। তবে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ২০২৩ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৪ অর্থবর্ষে ১.৩ শতাংশ কমেছে। করোনার ধাক্কা সামলে এটাই খুচরো মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন হার বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

রিপোর্টে বার্ষিক বেকারত্বের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই হার আগামী অর্থবর্ষে কমতে পারে। করোনা পর্বের পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মসংস্থান বেড়েছে। যা ভারতের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। মেয়েদের কাজ করার হারও বেড়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে এই হার ছিল ২৩.৩ শতাংশ। গত ছ’বছর সেই হার ক্রমাগত বেড়েছে। ২০২২-২৩ সালে তা এসে দাঁড়ায় ৩৭ শতাংশে। বিশেষত, গ্রামের মহিলাদের কাজ করার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.