শুধু প্রার্থীদের মনোনয়নের শেষ দিন পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত করাই নয়, ভোটার তালিকায় ‘ভূতেদের’ ধরতেও এ বার রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের দফতরকে সতর্ক করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এ বারই বলা হয়েছে, যত দূর সম্ভব ভোটদাতাদের ভোটযন্ত্রে মত প্রকাশের সুযোগ দিতে সেই কেন্দ্রে প্রার্থীদের মনোনয়ন পেশের শেষ দিন পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম যোগ করা যাবে। তবে দেশে ভোটকালীন আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পরে কেউ মারা গেলে বা অন্যত্র সরে গেলেও তালিকা থেকে তাঁর নাম মোছার অবকাশ নেই। অতএব ভোটার তালিকায় ফের ‘ভূতেদের’ বাসা বাঁধা নিয়েও সংশ্লিষ্ট অনেকের আশঙ্কা ছিল। সোমবার কমিশনের নয়া নির্দেশে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের নয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, আলাদা করে এ এস ডি ভোটার তালিকা (অ্যাবসেন্ট, শিফটেড অ্যান্ড ডিলিটেড) বা অনুপস্থিত, স্থানান্তরিত এবং তালিকা থেকে অতীতে নাম প্রত্যাহার করা ভোটারদের তালিকা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারকে দিতে হবে। ভোটের সময়ে কোনও সংশয় হলে দু’টি তালিকা মিলিয়ে দেখলেই সমস্যার সমাধান হবে। নিজের কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে পারবেন না এমন ভোটারদের পোস্টাল ব্যালটে অধিকার প্রয়োগে ১২ডি ফর্মও সুষ্ঠু ভাবে দিতে বলা হয়েছে। ভোটযন্ত্র এবং ভিভিপ্যাটের স্ট্রংরুমে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সতর্কতায়ও জোর দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়গুলি নিয়ে নির্দিষ্ট দিন ধরে ধরে বিভিন্ন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক, নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশকর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে বসার কথাও কমিশন জানিয়েছে।
অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগীও এ দিন আদর্শ আচরণ বিধি জারি রাখতে সাম্প্রতিক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানান, লোকসভা ভোটের প্রথম পর্যায়ের তিনটি কেন্দ্র কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারের জন্য যথাক্রমে ১৭ কোম্পানি, ১১ কোম্পানি এবং ৯ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত বেআইনি লেনদেনের ৫ কোটি ৫ লক্ষ টাকার নগদ, ২৮ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার মদ, ১৪ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ মাদক, ১৯ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকার সোনাদানা এবং ৪০ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার অন্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।