এখন ত্রিপুরায় পুরভোটের পর প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই প্রতিটি বিষয়ে শেষপর্যন্ত দেখতে চায় ঘাসফুল শিবির। একুশের নির্বাচনে গ্লোরিয়াস ভিক্ট্রি পেলেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল নন্দীগ্রাম নিয়ে। কারণ এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছিলেন। সামান্য ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে গণনায় কারচুপি নিয়ে। মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেটাকে প্রতিরোধ করে পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন শুভেন্দু অধিকারী। আজ, সোমবার সেই নন্দীগ্রাম ভোট গণনা মামলার শুনানি রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
নন্দীগ্রামে ভোট গণনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন ছিল, পশ্চিমবঙ্গ ব্যতীত যে কোনও রাজ্যে ওই মামলা সরানো হোক। এই আবেদনে সর্বোচ্চ আদালত কোন পথে হাঁটে সেদিকেই তাকিয়ে সবাই। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টে একদফা মামলার শুনানি হয়ে গিয়েছে। সেখানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে আজ তাঁর আইনজীবী কি সওয়াল করেন সেদিকেও তাকিয়ে আছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেন তিনি কলকাতা হাইকোর্টের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না? সেই প্রশ্ন উঠতে পারে। আবার কলকাতা হাইকোর্টে যে মামলার শুনানি হয়েছিল তার রিপোর্টও আজ জমা পড়বে। ফলে টানটান উত্তেজনা রয়েছে আজ সর্বোচ্চ আদালতে।
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট জারি করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ। কিন্তু এই নির্ঘন্ট নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেওয়া হয়েছে। কেন সব পুরসভায় ভোট নয়? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। আজ সেই মামলার শুনানি রয়েছে। সুতরাং বিষয়টি নিয়ে আজ কোন রায় শোনায় আদালত সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের।