ভাঁড়ের মণ্ডপ বানিয়ে তাকলাগানো বন্দন রাহার রহস্যমৃত্যু, ঝুলন্ত দেহ মিলল প্রথম থিমশিল্পীর

অস্বাভাবিক মৃত্যু কলকাতার দুর্গাপুজোয় থিমের প্রথম সফল রূপকার বন্দন সাহার। বাগুইআটি এলাকায় তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে বন্ধনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন শিল্পী। ২০০১ সালে কলকাতার কসবায় একটি সর্বজনীন পুজোয় থিমের প্যান্ডেল করে সমস্ত আকর্ষণ টেনে নিয়েছিলেন বন্দন। সেই বন্দনের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া।

পুলিশ সূত্রে খবর, ৫২ বছরের বন্দন বাগুইআটির আদর্শপল্লির ভাড়াবাড়িতে আত্মহত্যা করেন। তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনি অ্যালঝাইমার্স এবং অন্যান্য স্নায়ুর সমস্যায় ভুগছিলেন।

কসবার দিকে নামকরা পুজো বললে হাতেগোনা কয়েকটা নামই মনে পড়ে। তার মধ্যে অবশ্যই বোসপুকুর শীতলামন্দিরের পুজো অন্যতম। ২০০১ সালে ভাঁড়ের প্যান্ডেল করে প্রথম লাইমলাইটে আসে এই পুজো। সে বার কলকাতায় হইহই ফেলে দিয়েছিল এই পুজো। সেই থিম পূর্ণতা পেয়েছিল শিল্পী বন্দনের হাত ধরেই। পুজোর দিনগুলোয় পুরো ভিড়টাই শুষে নিয়েছিল বোসপুকুর শীতলামন্দির। রাস্তার ওপরই পুজো। ফলে বন্ধ হতে বসেছিল গড়িয়াহাট থেকে রুবিগামী রাস্তায় যান চলাচল। আর গোটাটাই সম্ভব হয়েছিল বন্দনের হাতযশে।

১৯৯৮ সালে বোসপুকুর শীতলামন্দিরে বন্দনের প্রথম থিম ছিল ‘এপার বাংলা ওপার বাংলা’। ২০০০ সালে ওখানেই করেন তাসের ঘর। এর আগে থিম যাই হোক, কলকাতায় চট, প্লাই বা কাপড়ের মণ্ডপ হত। তার উপরে কারুকাজ। কোনও একটি জিনিস দিয়ে মণ্ডপ বানানোর কারিগরদের মধ্যেও তিনিই প্রথম বলে মনে করা হয়। তেমনই ছিল ভাঁড়ের মণ্ডপ। আজও যা মানুষ ভুলতে পারেননি। জেলার মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল কলকাতার কসবায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.