পশ্চিমবঙ্গ, অসম, পঞ্জাবে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানো নিয়ে বিরোধীদের তোপের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। পঞ্জাবের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও এই এক্তিয়ার বিরোধী প্রস্তাব পাশ করা হয়। দিনহাটার বিধায়ক বিএসএফ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যও করেন বিধানসভায়। আর সেই প্রস্তাব পাশ, যাবতীয় বিতর্কের পরের দিনই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করার বার্তা দিল বিএসএফ।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিএসএফের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল ওয়াই বি খুরানিয়া বলেন, ‘বিএসএফের মূল কাজ অনুপ্রবেশ রোখা। আমদের সংস্থা কোনও তদন্তকারী সংস্থা নয়। আমরা কখনওই রাজ্য পুলিশের কাজে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা সবসময় চাইব যাতে পুলিশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে পারি।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ এবং অসম ছাড়াও মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং ত্রিপুরার মতো যেসব রাজ্যে বিএসএফ পূর্ব কম্যান্ড অবস্থিত রয়েছে, সেখানে বিএসএফের অধিকার সমগ্র রাজ্যজুড়ে।’
এদিন এডিজি খুরানিয়া বলেন, ‘বিএসএফের কাছে কোনও পুলিশি ক্ষমতা নেই। আমরা এফআইআর নথিভুক্ত করতে বা তদন্ত করতে পারি না। যেকোনও ব্যক্তিকে আটক বা গ্রেফতার করতে রাজ্য পুলিশ বা অন্য কোনও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতেই তুলে দিতে হবে। রাজ্য পুলিশের অধিকার ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত রয়েছে। বিএসএফের বর্ধিত অধিকার পুলিশের হাতকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বহু জায়গায় পুলিশ-বিএসএফ সমন্বয়ে মানব পাচার বিরোধী ইউনিট স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া সীমান্তে যৌথ অভিযান, যৌথ টহল, যৌথ নাকা করে পুলিশ ও বিএসএফ।’