গরমে হাঁসফাঁস করছে দিল্লি। বুধবারই হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়েছে রাজধানীর তাপমাত্রা। দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছয় ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বটে। এই পরিস্থিতিতে খানিক স্বস্তির খবর দিল কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর। তাদের পূর্বাভাস, বৃহস্পতিবার দিল্লির তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমতে পারে।
তবে বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানীর বিভিন্ন অংশে তাপপ্রবাহ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বুধবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার অবশ্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিল্লির কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। বেলার দিকে ঘণ্টায় ২৫ থেকে ৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার সারা দিনই দিল্লির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পশ্চিমি ঝঞ্ঝার কারণে আগামী ১ জুন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে। আগামী সোমবার এবং মঙ্গলবারের মধ্যে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিল্লির তীব্র গরমের হাত থেকে কচিকাঁচাদের রেহাই দিতে সব স্কুলকে ৩০ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটি বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গরমে বাতানুকূল যন্ত্রের ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুতেও টান পড়েছে দিল্লিতে। সেখানে বিদ্যুতের চাহিদাও তুঙ্গে। এর ফলে লোডশেডিংয়ের সম্ভাবনা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে মূলত বয়স্ক এবং শিশুদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। দুপুরে যথাসম্ভব বাড়িতে থাকা, বেশি করে ওআরএস জাতীয় পানীয় খাওয়া, কাটা ফল বা অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার না খাওয়ার উপরে জোর দিচ্ছেন তাঁরা।
বুধবার দিল্লির মুঙ্গেশপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৫২.৯ ডিগ্রি। এর পরেই নড়েচড়ে বসে মৌসম ভবন। ওই আবহাওয়া কেন্দ্রের তাপমাত্রামাপক সেন্সর ঠিক মতো কাজ করছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে মৌসম ভবন। ভূবিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “এখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে দিল্লির তাপমাত্রা ৫২.৯ ডিগ্রি হওয়া কিছুটা অস্বাভাবিক। মৌসম ভবনের আধিকারিকদের এ বিষয়ে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।”