ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে ট্যাঙ্কার সংগঠনের বৈঠক ফলপ্রসূ হল না। অধরাই রয়ে গেল সমাধান সূত্র। সে কারণে আপাতত ধর্মঘটে বহাল রাখছে ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠন। যার জেরে মৌরিগ্রাম ডিপো থেকে পেট্রোল-ডিজেলবাহী কোনও ট্যাঙ্কার বের না করার সিদ্ধান্তে অনড় ট্যাঙ্কার মালিক সংগঠন। ফলে বিপাকে পড়তে চলেছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার ট্যাঙ্কার মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আইওসির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে ট্যাঙ্কার মালিকদের দাবিদাওয়া সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে আইওসির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা ট্যাঙ্কার মালিকদের দাবি-দাওয়ার বিষয় ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। তারপরেই সমস্যার সমাধান করা হবে। এর জন্য তাঁরা ট্যাঙ্কার মালিকদের কাছে সাতদিনের সময় চেয়েছেন।
অপরদিকে ট্যাঙ্কার মালিকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন তাঁদের দাবি-দাওয়া পূরণ না-হচ্ছে, ততদিন এই ধর্মঘট বহাল থাকবে।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি সরবরাহের জন্য যেই ভাড়ায় ট্যাঙ্কার মালিকদের সঙ্গে আইওসির চুক্তি হয়েছিল। সেই অনুপাতে ভাড়া অত্যাধিক কমিয়ে দেয় এই রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থা। ট্যাঙ্কার মালিকদের দাবি, তাঁদের পক্ষে এত কম ভাড়ায় জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব না। যেই ভাড়ায় তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছিল, সেই ভাড়া দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘটে নামেন ট্যাঙ্কার মালিকরা। অন্য দিকে, জেলার পেট্রলপাম্পগুলোতে পেট্রোল-ডিজেল সরবরাহ না-হওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই জেলার বেশ কয়েকটি পেট্রোল পাম্পে তেলের স্টক শেষ হতে চলেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই ধর্মঘট যদি আরও চলতে থাকে সেক্ষেত্রে রাজ্যের একাধিক জেলা যেমন হাওড়া, কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়াও নদিয়ার একাংশে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে, বিপাকে পড়তে চলেছেন আমজনতা।