কুমিল্লার হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তবে ওই অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
মঙ্গলবার র্যাবের সদর দফতরে তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত একটি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এতদিন কোনও পুজো মণ্ডপে এরকম তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেনি। এক্ষেত্রেও কোনও ঘটনা ঘটেনি, বরং তা ঘটানো হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনাকে ঘিরে চাঁদপুরে মন্দির ভাঙচুরের চেষ্টা করেছে একদল উগ্রবাদী লোকজন। সেইসঙ্গে তিনি জানান, কমবয়সি এক ছেলে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট দিয়েছে। সেটাকে ঘিরেই হিংসা ছড়িয়েছে। চলেছে ভাঙচুর। ইতিমধ্যে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর মধ্যে বাংলাদেশের একাধিক মণ্ডপে তাণ্ডব চালানো হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপে কোরান শরিফের অসম্মান করা হয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এরপর মণ্ডপে ভাঙচুর শুরু হয়। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ, চট্টগ্রামের বাঁশখালি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ এবং কক্সবাজারের পেকুয়ায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালানো হয়। বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ্যে আসে যাতে দেখা যায় দুর্গা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই হিংসা ছড়িয়েছে নোয়াখালি, পরীগঞ্জের মতো জায়গায়। এখনও যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে সেইসব এলাকায়।
তারইমধ্যে মঙ্গলবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্বার্থান্বেষী লোকজন উস্কানিমূলক মন্তব্য করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যারা অপপ্রচার চালিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে, তাদের খুঁজে বের করা হবে। উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।