ওড়িশার কটকের কাছেই মহানদীর ঘুর্ণির জলে আটকে পড়েছিল দাঁতালটা। আর পেশার টানে সেই খবর করতে গিয়েছিলেন টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা। কিন্তু নদীর তীব্র স্রোতে উলটে যায় নৌকাটি। এর জেরে নদীতে তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক সাংবাদিকের। মৃতের নাম অরিন্দম দাস। তিনি ওটিভির চিফ রিপোর্টার ছিলেন। তাঁর সহকর্মী চিত্র সাংবাদিক প্রভাত সিনহাকে কোনওরকমে উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁরা Odisha Disaster Rapid Action Forceএর নৌকায় চেপে হাতি উদ্ধারের ঘটনার খবর করতে যাচ্ছিলেন। এদিকে বাঁধের কাছে নদীর প্রবল ঘুর্ণি জলে নৌকাটি টাল সামলাতে পারেনি। নৌকাটি উলটে যাওয়ায় উদ্ধারকারীদের পাশাপাশি সাংবাদিকরাও জলে পড়ে যান। এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক ডঃ ভুবানন্দ মহারানা বলেন, ক্যামেরাম্যান ও এক উদ্ধারকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা সবরকম চেষ্টা করছি।
ওটিভির এমডি টুইট করেছেন, তিনি একজন সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। ব্রেকিং নিউজের পেছনে ছুটতেন। বড় ক্ষতি হয়ে গেল। সব সুরক্ষা ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও এটা হয়ে গেল। এদিকে ওই সাংবাদিকের তিন বছর বয়সী এক পুত্র ও স্ত্রী রয়েছেন। এই ঘটনায় তাঁর সহকর্মীরাও ভেঙে পড়েছেন। এদিকে ওড়িশা বনদফতরের ৮০জন আধিকারিক ওই হাতিটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছিলেন। জলের মধ্যে হাতিটি আটকে গিয়েছিল। হাতি সাঁতার জানলেও জল বেশি থাকায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল। সেই উদ্ধারকাজের খবর করতেই নৌকায় চেপে বসেছিলেন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিক। তারপরেই এই দুর্ঘটনা। পরে অবশ্য হাতিটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।