কোচ তাঁকে যা বলেছিলেন, নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা ঠিক সেটাই করেছেন। অর্ধশতরানও এসেছে তাঁর ব্যাটে। তা-ও খুশি নন রোহিত। বৃহস্পতিবার ডাচদের হারানোর পর ভারত অধিনায়ক জানালেন, যে গতিতে অর্ধশতরান করেছেন, সেটা মোটেই পছন্দ হয়নি তাঁর। কোনও কারণও ব্যাখ্যা করেননি। অর্থাৎ ঠারেঠোরে বুঝিয়েছেন, অর্ধশতরান বিরাটোচিত হয়নি।
রোহিত বলেছেন, “শুরুর দিকে আমার রান তোলার গতি খুবই কম ছিল। তবে বিরাটের সঙ্গে এ ব্যাপারে আগেই কথা বলে নিয়েছিলাম। চাইছিলাম বড় শট খেলার আগে একটু অপেক্ষা করতে। নিজের অর্ধশতরান নিয়ে খুশি নই। তবে রান পাওয়াটা দরকারি ছিল। সেটা ভাল ভাবেই হোক বা খারাপ ভাবে। দিনের শেষে আত্মবিশ্বাস বজায় রাখাটাই আসল।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রোহিতের কোচ দীনেশ বলেছিলেন, “বেশ কয়েকটা ম্যাচ ধরে রোহিত খুব ঝুঁকি নিয়ে খেলছে। আমি জানি না ও কেন এমনটা করছে। কিন্তু এটা করতে গিয়ে ও খুব ভুল করছে। অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক খেলার কোনও দরকার নেই। রোহিতকে নিজের খেলা বদলাতে হবে।”
উদাহরণ হিসাবে কোহলির ইনিংস তুলে ধরেন দীনেশ। কোহলি যে ভাবে শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ভারতকে জিতিয়েছেন সেটা রোহিতের শেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। দীনেশ বলেছেন, “টি-টোয়েন্টিতে অনেকে নানা রকমের শট খেলার চেষ্টা করে, যেগুলো খেলতে গেলে ঝুঁকি বেশি থাকে। কোহলি কিন্তু সব ক্রিকেটীয় শট খেলেছে। গোটা ম্যাচে একটাও ঝুঁকি নেয়নি। তার পরেও ওরকম ইনিংস খেলেছে। এটাই রোহিতকে শিখতে হবে। কী ভাবে ঝুঁকি না নিয়ে শেষ পর্যন্ত থেকে দলকে জেতানো যায় তার চেষ্টা করতে হবে ওকে।”
নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে রোহিত বলেছিলেন, পাকিস্তান জয় তাঁদের কাছে অতীত। সেটাই বললেন ম্যাচের পরেও। রোহিতের কথায়, “ভাগ্য ভাল আমরা ও রকম একটা জয়ের পর সহজেই সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে পেরেছি। ম্যাচ হওয়ার পরেই আমরা সিডনি এসে একত্রিত হই। সামনে এগিয়ে যাই। এই ম্যাচের উপরেই ফোকাস ছিল আমাদের। দু’পয়েন্ট পাওয়ার জন্যে মরিয়া ছিলাম। বেশ ভাল ভাবেই জিততে পেরেছি।”
প্রতিপক্ষের প্রশংসা করেছেন রোহিত। বলেছেন,“যে ভাবে ওরা সুপার ১২-র যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাতে ওদের যথেষ্ট কৃতিত্ব প্রাপ্য। তবে আমরা প্রতিপক্ষকে নিয়ে না ভেবে নিজেদের উপরেই বেশি জোর দিয়েছিলাম। নিখুঁত জয় উপহার দিতে পেরেছি।”