বিয়ের আগের রাতে বন্ধুদের নিয়ে একটু আমোদে মেতেছিলেন বর। সঙ্গে চলেছিল মদ্যপান। তার মাত্রা এতটাই বেশি হল যে, বিয়ের কথা ভুলেই গেলেন তরুণ। জ্ঞানই ফিরল না। মণ্ডপে একা বসে রইলেন কনে। বর আর এল না। বিহারের ভাগলপুরের সুলতানগঞ্জের ঘটনা।
গত সোমবার বসেছিল বিয়ের আসর। বর এবং বরযাত্রীর অপেক্ষায় বসেছিলেন কনে আর তাঁর পরিবার। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। বরের দেখা নেই। শেষে সব অতিথিরা বাড়ি ফিরে যান। পরের দিন, মঙ্গলবার জ্ঞান ফেরে বরের। পরিবারকে নিয়ে কনের বাড়িতে যান। কিন্তু কনে সটান বিয়েতে অসম্মতি জানিয়ে দেন।
কনে স্পষ্ট নিজের পরিবারকে জানিয়ে দেন যে, পাত্রের জন্য তাঁরা অপমানিত হয়েছেন। তাঁকে আর বিয়ে নয়। তা ছাড়া যাঁর কর্তব্যবোধ নেই, তাঁকে বিয়ে করতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। কনের পরিবার দাবি করে, মেয়ের বিয়েতে যা খরচ হয়েছে, সেই টাকা ফেরাতে হবে। বরের পরিবার তাতে রাজি হয়নি। বরের পরিবারের কয়েক জনকে আটক করে রাখে কনের পরিবার। দুই পক্ষের বচসা তীব্র হয়। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। তাদের হস্তক্ষেপে দুই পরিবারের বচসা মেটে। তবে পাত্রকে আর বিয়ে করতে রাজি হননি পাত্রী।
সম্প্রতি অসমে বিয়ের মাঝেই ঘুমে ঢলে পড়ে মত্ত বর। তাঁর বাবাও মত্ত হয়ে এসেছিলেন বিয়ের আসরে। এ সব দেখে বিয়ে ভেঙে দেন কনে। জানিয়ে দেন, মত্তকে বিয়ে করতে পারবেন না তিনি। এ বার বিহারেও মদের কারণেই ভেঙে গেল বিয়ে।