রাতের বেলা মায়ের পাশে ঘুমোচ্ছিল শিশু। তাকে ঘর থেকে মুখে করে তুলে নিয়ে গেল বনবিড়াল। বুঝতে পেরে শিশুটির বাবা বিড়ালটির পিছু পিছু দৌড় দেন। কিন্তু বিড়ালটি তখন খোলা ছাদে উঠে গিয়েছে। এর পর ছাদ থেকে শিশুটিকে ফেলে দেয় বিড়ালটি। মৃত্যু হয় ১৫ দিনের শিশুটির। উত্তরপ্রদেশের বদায়ুঁর এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
১৬ দিন আগে যমজ শিশুর জন্ম দেন বদায়ুঁর গোত্রপতি ভবানী গ্রামের বাসিন্দা আসমা। ছেলেটির নাম দেন রিহান। মেয়েটির নাম আসিফা। আসমার স্বামী হাসানের দাবি, সোমবার রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীর পাশে ঘুমিয়েছিল দুই সন্তান। তাদের মধ্যে রিহানকে মুখে তুলে নিয়ে দৌড় দেয় একটি বনবিড়াল। শব্দ পেয়ে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর স্ত্রীর। তিনি চেঁচিয়ে ওঠেন। তখন হাসান ঘুম থেকে উঠে দেখেন বনবিড়ালটি তাঁর ছেলেকে মুখে তুলে নিয়ে পালাচ্ছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ধাওয়া করেন। কিন্তু সোজা ছাদে উঠে যায় বনবিড়ালটি। ছাদ থেকে শিশুটিকে ফেলে দেয়। মৃত্যু হয় তার। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি সোমবারের রাতের। তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
অন্য দিকে, মৃত শিশুটির বাবা বলেন, ‘‘বেশ কয়েক দিন ধরেই বাড়ি এবং পাড়া চত্বরে একটি বনবিড়ালকে যেতে-আসতে দেখেছি। কিন্তু সে যে এমন একটা কাণ্ড ঘটাবে, আমাদের এত বড় ক্ষতি করে দেবে, কী করে বুঝব!’’ সদ্যোজাতকে হারিয়ে আর কথা বলার মতো অবস্থায় নেই আসমা। তিনি কেঁদেই চলেছেন। ঘুম থেকে উঠে যে দৃশ্য দেখেছেন তিনি, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ তারা পায়নি। তবে নিজেরা ওই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে। এমন একটি ঘটনায় শোকের আবহ এলাকায়।