রামপুরহাটে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট–সার্কিট তত্ত্ব খারিজ করে দিল সিট। একইসঙ্গে কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি, আগুন লাগানো হয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে সিটের তরফে। রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি পরিদর্শনের পর সিটের আধিকারিক সঞ্জয় সিং স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। তবে কারা আগুন লাগিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রামপুরহাট কাণ্ডে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। ইতিমধ্যেই সঞ্জয় সিংয়ের নেতৃত্বে গ্রামে ঢুকেছে সিটের সদস্যরা। সেখান থেকে তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করেন। এমনকী প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কখাও বলেছেন। আবার রামপুরহাটের ঘটনায় মুখ্যসচিবের কাছে যাবতীয় তথ্য তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
ঠিক কী জানিয়েছে সিট? এদিন গ্রাম পরিদর্শন করার পর সিটের আধিকারিক সঞ্জয় সিং জানিয়ে দিলেন, ‘বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছিল। কারা লাগিয়েছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত প্রত্যেককেই গ্রেফতার করা হবে। যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা এই গ্রাম এবং পাশের গ্রামের বাসিন্দা। তারা প্রত্যেকেই পুরুষ। সুতরাং অনুব্রত মণ্ডলের শর্ট–সার্কিট থেকে টিভি ফেটে আগুন লাগার তত্ব কার্যত খারিজ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি? এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য পুলিশের ডিজি বলেন, ‘এই ঘটনায় একই বাড়ির সাতজন সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সম্ভবত ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করে দেখার জন্য সিট গঠন করা হয়েছে।’