করোনায় প্রথম সারির যোদ্ধাদের মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা ও ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য সরকারকে জনসমক্ষে আনার আদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত বৃহস্পতিবার রাজ্যের দেওয়া পরিসংখ্যান দেখে বিস্ময় প্রকাশ করে। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, রাজ্যের দেওয়া এই পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরপরই হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এই সংক্রান্ত তথ্য সকলের সামনে নিয়ে আসার আদেশ দিয়েছেন।
এদিন রাজ্য সরকারের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত আদালতকে জানান, করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে থেকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন জনা পড়েছে ১৮০টি। এরমধ্যে ১০১ জন পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৮৯৩ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ১৯০ জনকে ক্ষতিপূরণের বাবদ টাকা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের দেওয়া এই তথ্য দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি। আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকারের তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হচ্ছে, প্রাথমিকভাবে তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। মাত্র ১৮০ জন সরকারি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে, সেইসঙ্গে প্রায় ৩০ হাজার সরকারি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন, এই পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। করোনায় প্রথম সারির যোদ্ধাদের মৃতের সংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা, ক্ষতিপূরণ চেয়ে আবেদন ও এই সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে তুলে ধরা হোক।
একইসঙ্গে এদিন আদালতের তরফে রাজ্যের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, রাজ্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ কতজনকে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম। পাশাপাশি সরকারি স্তরে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো আছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন করোনায় প্রথম সারির যোদ্ধারা আক্রান্ত হলে বা তাঁদের মৃত্যু হলে তাঁদের ঠিকমতো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে না বলে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে রাজ্যের তরফে ওই তথ্য তুলে ধরা হয়।