“অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই! সিম্বলটা চলে যাবে, প্রধানমন্ত্রী হবার স্বপ্ন মুলতুবি,” জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের

 সোমবার বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। জাতীয় দল হবার কৌলিন্য হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশেও রাজ্য দলের তকমা হারিয়েছে ঘাসফুল শিবির। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে একথা জানানোর পর থেকেই খোঁচা দিতে শুরু করেছেন বিজেপির নেতারা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে পরামর্শের সুরে বলেছেন, এবার সর্বভারতীয় পার্টি হওয়ার স্বপ্ন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন, দিল্লি জয়ের স্বপ্ন আপাতত মুলতবি রাখতে হবে। তাঁর কথায় তৃণমূলকেে এবার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালাতে হবে।

প্রাতঃ ভ্রমণে বেরিয়ে বিজেপি নেতা সাংবাদিকদের বলেন, কোনো কোনো রাজ্যে তৃণমূল এক আধবার ভোট পেয়েছিল। ওরা ভেবেছিল আর পাঁচটা পার্টির মত হবে। তবে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস যে ধরনের দুর্নীতি, হিংসা, মারামারি করছে এর থেকে গোটা ভারতের লোক তৃণমূলের আসল রূপ জেনেগেছে। কোথাও ভোট দিচ্ছে না। গোয়া কিংবা ত্রিপুরা মণিপুর ও অসমে প্রচুর টাকা খরচ করেছে নির্বাচনের জন্য, কিন্তু কোথাও ভোট পায়নি। স্বাভাবিকভাবে ভোটের পার্সেন্টেজ কমে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তকমা চলে গেল। দিলীপ ঘোষ বলেছেন এখন পশ্চিমবঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য লড়াই করতে হবে।

জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়ার ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস আইনি পথে যেতে পারে শুনে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, “আইনি পথে সবাই যেতে পারেন। আমি তো বলি নির্বাচন কমিশনের সামনে ধর্না শুরু করে দিন। ইট, পাথর মারুন যেটা তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। আদালতে গিয়ে কি হবে? নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে আদালত সম্মতি জানাবে। এখানে পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তাই হয়েছে। সংবিধান নিয়ম-কানুন এরা কিছুই মানে না। এই পার্টিটাকে সম্পূর্ণভাবে ব্যান করা উচিত, প্রাদেশিক বা সর্বভারতীয় নয় পশ্চিমবঙ্গে একটা নির্বাচন তো শান্তিপূর্ণ হোক। না হলে একদিন না একদিন পার্টির সিম্বলই চলে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.