২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ডুয়ার্সের গ্যান্দ্রাপাড়া চা বাগানে মাথা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল চিতাবাঘের দেহ। বনদফতর সেই সময় ধারণা করেছিল সম্ভবত মাংস খাওয়ার জন্য চিতাবাঘটিকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছিল। ফের সেই ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে উদ্ধার চিতাবাঘের দেহ। মাত্র কয়েকঘণ্টার ফারাকে ডুয়ার্সের চা বাগান থেকে উদ্ধার হল দুটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘের দেহ। দুটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বনদফতর। কিন্তু জলপাইগুড়ির মালবাজারের এই ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্থানীয় ও বনদফতর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকালে যথারীতি শ্রমিকরা বাগানে কাজ করছিলেন। সেই সময় ৮এর সেকশনে একটি চিতাবাঘের দেহ শ্রমিকরা দেখতে পান। এরপরই এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে বনদফতরের আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে আসেন। এদিকে পশুটিকে পরীক্ষা করে দফতরের আধিকারিকরা দেখেন মৃত পুরুষ চিতাবাঘের দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। হয়তো কয়েকদিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তবে শ্রমিকদের দাবি ওই গুডহোপ চা বাগানে গত কয়েকদিন ধরেই চিতাবাঘের উপদ্রব হচ্ছিল। কিন্তু কীভাবে এটির মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
অন্যদিকে মালবাজারের আইভিল চা বাগানের তিন নম্বর সেকশন থেকেও এদিন একটি পূর্ণ বয়স্ক চিতাবাঘের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ চা বাগানে ভিড় করেন। বনদফতর চিতাবাঘের দেহটি উদ্ধার করেছে। খুনিয়া স্কোয়াডের রেঞ্জার রাজকুমার লায়েক বলেন, এটি একটি পূর্ণ বয়স্ক স্ত্রী চিতাবাঘের দেহ। তবে কীভাবে এটির মৃত্য়ু হয়েছে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।