সত্যি হল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এর্দোগানের শঙ্কা। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত দুই দেশে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার। ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জু়ড়ে আঘাত হানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের কবলে পড়ে তাসের ঘরে মতো ভেঙে পড়ে দু’দেশের ঘরবাড়িগুলি। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন বহু মানুষ। তার পর থেকে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই সংখ্যা বর্তমানে ৫০ হাজারের গণ্ডি টপকেছে। এর্দোগান আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন যে, ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজারের মাত্রা ছাড়াবে।
এর মধ্যে শুধু তুরস্কেই মৃত্যু হয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কবলে সে দেশে এখনও পর্যন্ত ৪৪ হাজার ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিরিয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৯১৪ জনের। তুরস্কের দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার ১৯ দিন পেরিয়েছে। প্রবল শৈত্যপ্রবাহ, ঠান্ডা এবং তুষারপাতের মধ্যে উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। তবুও তাঁরা হাল ছাড়তে রাজি নন বলেই জানিয়েছেন।
গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পের পর থেকে শতাধিক বার ‘আফটার শক’-এ কেঁপে উঠেছে তুরস্ক এবং সিরিয়া। দু’দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন শুধুই ধ্বংসস্তূপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের অনুমান, শুধু তুরস্কেই ভেঙে পড়েছে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার বাড়ি। সিরিয়াতেও অন্তত হাজার পঞ্চাশেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান ত্রাণকর্মীদের। ধ্বংসস্তূপের নীচে যে আরও কত হাজার মানুষ চাপা পড়ে রয়েছেন, তারও কোনও পরিসংখ্যান নেই।
ভূমিকম্পবিধ্বস্ত দু’দেশে এখন শুধুই স্বজনহারাদের কান্নার রোল। হাসপাতালগুলিতেও চিকিৎসা চলছে লক্ষাধিক মানুষের। যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদেরও খাবার, পানীয় জল ও ওষুধ সরবরাহ করতে নাজেহাল আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংগঠনগুলি। পর্যাপ্ত খাবার এবং জল ছাড়াই রাস্তায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো বহু মানুষ।