ট্রাম্পের পর এবার জো বাইডেনের (Joe Biden) বাড়িতে এফবিআই হানা। শনিবার ১৩ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন তল্লাশি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের (USA President) উইলমিংটনের বাসভবন থেকে আধ ডজন গোপনীয় নথি উদ্ধার হয়েছে। তা ইতিমধ্যে আমেরিকায় বিচারবিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে এই তল্লাশি নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে বাইডেনের আইনজীবীর সাফাই, গোপনীয় নথিগুলি অনেক পুরনো। সেগুলি খুঁজে পাওয়ার জন্যই মার্কিন প্রেসিডেন্টই এফবিআইকে তল্লাশি চালাতে বলেছিলেন। সবমিলিয়ে এফবিআইয়ের নজিরবিহীন তল্লাশি ঘিরে তোলপাড় মার্কিন মুলুক।
জানা গিয়েছে, সেনেটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন উইলমিংটনের বাসভবন থেকে কাজকর্ম করতেন জো বাইডেন। সেই সময়কার ৬টি নথি, যার উপরে ‘ক্লাসিফায়েড’ লেখা, লাইব্রেরি থেকে উদ্ধার করেছে এফবিআই। এই তল্লাশির জন্য় এফবিআইয়ের কাছে নাকি কোনও সার্চ ওয়ারেন্ট ছিল না বলেই খবর। তবে তাতেও এই তল্লাশি অভিযানের গুরুত্ব কম হবে না বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। বরং তাঁদের পর্যবেক্ষণ, এই গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার, তল্লাশিকে হাতিয়ার করে ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তুলবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল। মিড টার্ম নির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছিল ডেমোক্র্যাটরা। এমন পরিস্থিতিতে রিপাবলিকানদের এই আক্রমণের ঝড় সামাল দেওয়া কঠিন হবে।
তল্লাশি প্রসঙ্গে জো বাইডেনের আইনজীবী বব বাওয়ার বিবৃতি দিয়ে জানান, তল্লাশি চলাকালীন অনুপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক বাইডেন। তিনি সেনেটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময়কার নথি উদ্ধার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলে রাখা দরকার, ডেলাওয়ারের সেনেটর (১৯৭৩-২০০৯ ) ছিলেন বাইডেন। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। এই সময়কালের নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এ নিয়ে বাইডেনের আইনজীবীর সাফাই, বাড়ি থেকে অনেক কাজ করতেন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট, তাই এই নথি রয়ে গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাইডেনের প্রতিক্রিয়া, “আমার আইনজীবী আমাকে যা পরামর্শ দিয়েছেন তাই মেনে চলছি।” তবে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি কেন বাইডেনর নিজের বাড়িতে রেখেছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।