গুটিকয়েক সিআরপিএফ জওয়ানের অদম্য জেদের কাছে হেরেছিল গোটা পাক ব্রিগেড! আত্মত্যাগ স্মরণ করতে পালিত হলো শৌর্য্য দিবস

 দেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে আধা সামরিক বাহিনীর গুরুত্ব অপরিসীম। ভোটের সময় নিরাপত্তা দেওয়া থেকে শুরু করে সীমান্ত প্রহরা, বিশেষ এলাকায় নিরাপত্তা, উপদ্রুত এলাকায় টহলদারি। গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ সবক্ষেত্রেই কড়া নিরাপত্তার জন্য ভরসা যোগায় ভারতের আধা সামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ ফোর্স বা সিআরপিএফ। সে বাহিনীর জন্য ৯ এপ্রিল একটি বিশেষ দিন। সিআরপিএফ এদিনটিকে শৌর্য্য দিবস হিসেবে পালন করল।

১৯৬৫ সালের একটি ঘটনা স্মরণ করেই দিনটি পালিত হয়। ১৯৬৫ সালে গুজরাটের কচ্ছের রনে সর্দার পোস্টে পাকিস্তানের একটি বড় ব্রিগেড দুটি হামলা চালায়। সেই সময় সেখানে সিআরপিএফের মাত্র ২টি কোম্পানি ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী কচ্ছের রনে থাকা ভারতীয় বর্ডার পোস্টগুলি দখল নিতে হামলা চালিয়েছিল। ভারী সমরাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্থানের সেনাবাহিনীর ওই হামলা রুখে দেয় গুটি কয়েক সিআরপিএফের জওয়ান। পরপর তিনবার হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু এত কিছুর পরেও পাকিস্তান কিছুই করতে পারেনি। কয়েকজন ভারতীয় জওয়ান টানা ১২ ঘন্টার অদম্য লড়াই চালিয়ে পাক সেনাকে পিছু হটতে বাধ্য করেছিল। ৩৪ পাক সৈন্য মারা গিয়েছিল। ধরাও পড়েছিল ৪ জন। কিন্তু সেদিন ভারতীয় ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছিল ৬ জন সিআরপিএফ জওয়ান। তারপর থেকে প্রতি বছর ৯ এপ্রিল দিনটি সিআরপিএস শৌর্য্য দিবস হিসেবে পালন করে।

এবছরেও সিআরপিএফের পশ্চিমবঙ্গ সেক্টরে কলকাতার সল্টলেকের অফিসে শৌর্য্য দিবস অনুষ্ঠিত হলো। এই অনুষ্ঠানে মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিআরপিএফ সেন্ট্রাল জোনের এডিজি বিতুল কুমার, সিআরপিএফের সেন্ট্রাল জোনের আইজি আর এন এস বাহাদ, বাহিনীর পশ্চিমবঙ্গের আইজি বিদ্যুৎ সেনগুপ্ত। এদিন শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এছাড়াও সিআরপিএফের সেন্ট্রাল জোন ও জম্মু-কাশ্মীর জোনের বিভিন্ন ব্যাটেলিয়নের ৩৩ জন কর্মীকে তাদের কাজের জন্য ও বীরত্বের জন্য মেডেল দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.