রুটিন পরীক্ষা না করিয়েই যাত্রী পরিবহণ করছিল বিকানের এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন

বিকানের এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। দুর্ঘটনার প্রাথমিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইঞ্জিনটি নির্ধারিত প্রযুক্তিগত পরীক্ষা না করিয়েই ইঞ্জিনটিকে যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় রেলের মেরামতি ও সুরক্ষা নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। এই ঘটনার তদন্তে আগামীকাল বৈঠকে বসছে রেল বোর্ড।

প্রতি ২ মাস অন্তর রেল ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে ২২৩৭৫ (WAP4) ইঞ্জিনটির শেষ পরীক্ষা হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর। তার পর গত ৯ জানুয়ারি ফের ইঞ্জিনটির পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষা হয়নি। তার পরও ১২ জানুয়ারি ইঞ্জিনটিকে যাত্রী পরিবহণের অনুমতি দেওয়া হয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

রেলের এই তথ্যেই স্পষ্ট, নির্দিষ্ট দিনে প্রযুক্তিগত পরীক্ষা না করিয়েই যাত্রী পরিবহণে ব্যবহার করা হচ্ছিল ইঞ্জিনটি। কেন সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘন করা হল। কে ইঞ্জিনটিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা করছেন।

ওদিকে বুধবার দেশের সমস্ত রেল বিভাগের মহানির্দেশকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। সেখানে রেলের সমস্ত সুরক্ষাবিধি যাতে কড়া ভাবে পালিত হয় সেই

দিকে জোর দিতে নির্দেশ দিতে পারেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪.৫৫ মিনিটে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে লাইনচ্যুত হয় বিকানের – গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতি ছিল প্রায় ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। রেল লাইন থেকে ছিটকে পড়ে একাধিক কামরা। দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ৪০ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.