দিল্লির বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিল নির্বাচন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) এক দফাতেই নির্বাচন হতে চলেছে দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। ফল ঘোষণা হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি (শনিবার)। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার থেকেই আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গেল দিল্লিতে। ফলে ভোটপ্রক্রিয়া শেষ না-হওয়া পর্যন্ত কোনও সরকারি ঘোষণা করা যাবে না সেখানে।
মঙ্গলবার দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, আগামী ১০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৭ জানুয়ারি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জানুয়ারি। দিল্লিতে সাধারণত এক দফাতেই বিধানসভা নির্বাচন হয়ে থাকে। পাঁচ বছর আগে, ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এক দফায় (৮ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন হয়েছিল।
নতুন ভোটার তালিকা অনুযায়ী দিল্লিতে মোট ভোটদাতার সংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৫৮। এত সংখ্যক ভোটারের জন্য মোট ১৩ হাজার ৩৩টি বুথ থাকবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
দিল্লির বিধানসভা ভোটে লড়াই এ বার মূলত ত্রিমুখী। টানা তৃতীয় বারের জন্য জয়ী হওয়ার লক্ষ্যে ভোট ময়দানে নামা দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি (আপ)-র সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজেপি এবং কংগ্রেসের। গত বিধানসভা ভোটে ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছিল আপ। মাত্র ৮টি আসনে জয়ী হয় বিজেপি। কংগ্রেস খাতা খুলতে পারেনি। তবে ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত একটানা দিল্লির বিধানসভা ভোটে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। তার পর থেকে জয়ী হয়ে আসছে আপ। এ বার ফের দিল্লি দখলে মরিয়া কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে দিল্লিতে জোট করে লড়লেও বিধানসভা ভোটে আপের সঙ্গে জোট হয়নি তাদের। বরং বিজেপি এবং আপকে একাসনে বসিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছে হাত শিবির।
অন্য দিকে, কেজরীওয়ালের বাসভবনে ‘বিপুল পরিমাণ’ খরচ-সহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রচারের সুর বেঁধে ফেলেছে বিজেপিও। ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহিলাদের মাসে আর্থিক অনুদান দেওয়া নিয়েও লড়াই শুরু হয়েছে দলগুলির মধ্যে। দিল্লির ক্ষমতাসীন আপ সরকার তাদের ‘মুখ্যমন্ত্রী মহিলা সম্মান যোজনা’ প্রকল্পে বর্তমানে ১৮ বছর ঊর্ধ্বে মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা অনুদান দিয়ে থাকে। ক্ষমতায় ফিরলে এই অঙ্ক ২১০০ করা হবে বলে জানায় কেজরীওয়ালের দল। তার পাল্টা সোমবার কংগ্রেস ঘোষণা করেছে যে, তারা ক্ষমতায় এলে মহিলাদের মাসে ২৫০০ টাকা দেওয়া হবে।