বিয়ের আগে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার পরামর্শ দিলেন মেদিনীপুরের জেলাশাসক

 শনিবার থ্যালাসেমিয়া নিয়ে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান হল জেলা শাসকের দপ্তরে। এদিনের অনুষ্ঠানে এমন অনেকেই যোগ দেন, যাঁরা থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়েও জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত। কেউ নার্সের চাকরি করছেন, কেউ ব্যবসা, কেউ আবার কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন।

জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় প্রায় আট হাজার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। এরমধ্যে প্রায় ছ’হাজার রোগীকে রক্ত দিতে হয় নিয়মিত। জেলাশাসক বলেন, থ্যালাসামিয়া বিশ্বব্যাপী একটি সমস্যা। আমাদের জেলার বেশ কিছু ব্লকেও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। আমরা চেষ্টা করছি সেই হার কমিয়ে আনার। বিয়ের আগে যুবক-যুবতীদের থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষার পরামর্শ দেন জেলা শাসক। এছাড়াও জেলা শাসক থ্যালাসামিয়া নিয়ে লাগাতার সচেতনতা প্রচারের নির্দেশ দেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক খুরশিদ আলি কাদেরি, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্য শঙ্কর ষড়ঙ্গী, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত রাউত সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.