ছট পুজোয় দুরত্ববিধি শিকেয় উঠল, উপচে পড়ল ভিড়, মাস্কবিহীন জনতা পথে

শহর থেকে জেলায় পালিত হয়েছে ছট পুজো। কিন্তু কোথাও কোনও বিধি মানা হল না। উপচে পড়ল ভিড় বিভিন্ন স্থানে। চুলোয় গেল শারীরিক দূরত্ববিধি। ভক্তদের মাস্কবিহীন অবস্থাতেও দেখা গেল। আর এই ভিড় সামলানো গেল না। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলেছিলেন, কোভিড–১৯ বিধি মেনে উৎসব পালন করবেন। সেখামে এমন বেনজির দৃশ্য সংক্রমণের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিল।

পশ্চিম বর্ধমানে এমন এক পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে। কোভিড–বিধি না মানা থেকে তারস্বরে লাউড স্পিকার বাজানো সবই চলেছে জোরকদমে। যদিও পুলিশ এবং প্রশাসন সচেতনতা প্রচার করেছে বলে দাবি তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, জামুড়িয়া–সহ সর্বত্র দেখা গিয়েছে তীব্র শব্দে বাজছে সাউন্ড বক্স।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে খবর, শিল্পাঞ্চলে শব্দের নির্ধারিত মাত্রা করা হয়েছে, দিনে ৭৫ এবং রাতে ৭০ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় অবশ্য দিনে ৬৫ এবং রাতে ৫৫ ডেসিবেল। বসতি এলাকায় দিনে ৫৫ এবং রাতে ৪৫ ডেসিবেল। কিন্তু এই শব্দ–বিধি কী মানা হল?‌ এই বিষয়ে আসানসোল–দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুধীরকুমার নীলাকান্তম বলেন, ‘‌আমাদের কাছে এমন কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’‌

করোনাভাইরাস আবহে বিভিন্ন ঘাটে ভক্তদের ভিড়, মাস্ক না পরার ছবিটা চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসকদের। পানাগড় বাজার ছট পুজো কমিটি অবশ্য মাস্ক পরা আছে কি না দেখেই ভক্তদের ঘাটে নামতে দিয়েছে। আর জিটি রোড, বার্নপুর রোড, বরাকর রোড–সহ আসানসোলের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় পুলিশ যান নিয়ন্ত্রণ করেছে। এই বিষয়ে আসানসোলের পুর–প্রশাসক অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‌ছটপুজো শিল্পাঞ্চলের বড় উৎসব। আমাদের কর্মী ও আধিকারিকেরা পথে রয়েছেন। বরো কার্যালয়গুলিতে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.