লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসে তরুণীকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছেন যুবক। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দীর্ঘ ছ’বছর ধরে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি কোনও কারণে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। তার জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন যুবক।
লেক থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। বুধবার বিকেলে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই গেস্ট হাউসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসে গিয়েছে ফরেন্সিক দলও।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিনের প্রেমের পর মাঝে যুগলের মধ্যে দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল। কী কারণে এই দূরত্ব, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বুধবার ওই যুবক তরুণীকে দেখা করতে ডেকেছিলেন। পুলিশ এ-ও জানতে পেরেছে, তরুণীকে দেখা করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন যুবক। তাঁকে জোর করা হয়েছিল। অবশেষে যুবকের ডাকা সাড়া দিয়ে লেক গার্ডেন্সের গেস্ট হাউসে আসেন তরুণী। সেখানে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয় বলে খবর।
যুবকের নাম রাকেশকুমার শাহ। তিনি এবং ওই তরুণী দু’জনেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজের বাসিন্দা। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন তাঁরা। বুধবার বিকেল ৪টে ৫০ মিনিট নাগাদ আচমকা গুলির আওয়াজ শুনতে পান গেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে রিসেপশনে চলে আসেন তরুণী। জানান, যুবক তাঁর পেটে গুলি করেছেন। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর ওই ঘর থেকে আরও একটি গুলির শব্দ শোনা যায়। গেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ সেখানে গিয়ে দেখেন, যুবক নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁরাই পুলিশে খবর দেন।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, তরুণীকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি ছোড়েন যুবক। তাঁর পেটে গুলি লাগে। এর পর ওই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই নিজের মাথায় গুলি চালান যুবক। তাঁর মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। যাদবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসাধীন। কী নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, কেন গুলি চালানো হল, যুবক আগ্নেয়াস্ত্র কোথা থেকে পেলেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।