ভুয়ো’ নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টারের কর্নধার শান্তুনু শর্মার শাস্তি চেয়ে আদালত প্রতারিত ছাত্রীরা। শুক্রবার কেন্দ্রীয় সংশোধনার থেকে অভিযুক্ত শান্তুনুকে আদালতের কোর্ট হাজতে নিয়ে আসতেই আদালত চত্বরে বিক্ষোভে সামিল হলেন প্রতারিত ছাত্রীরা। ব্যানার হাতে অভিযুক্তের শাস্তি চাইলেন তাঁরা।
গত, ১৯ সেপ্টেম্বর শহরের পান্ডা পাড়ার ভুয়ো নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয় জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এরপর থেকে সেন্টারের কর্নধার শান্তুনু শর্মা পলাতক ছিল। যদিও এই সেন্টারের প্রশিক্ষক রিঙ্কু মহম্মদকে আগেই গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার প্রায় চার মাস পলাতক থাকার পর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শান্তুনু। আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এদিকে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় পুলিশ অভিযুক্তকে পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার আবেদন জানায়।
প্রতারিত হওয়া এক ছাত্রী শ্যামলী রায় বলেন, “জেএনএম–এ প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছিল। শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট আটকে রাখা হয়েছে। আমি ময়নাগুড়ি থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আসতাম স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে কিন্তু সব আশা নষ্ট হয়ে গেল ‘ভুয়ো’ নার্সিং প্রশিক্ষণ সেন্টার হওয়ায়। অভিযুক্তের শাস্তি ও আমাদের টাকা ফেরতের দাবি তুলে এ দিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা।”
কোতোয়ালি থানার পুলিশ অভিযুক্ত শান্তুনু শর্মাকে ১৪ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায় আদালতে। সহকারী সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভুয়ো নার্সিং সেন্টার খুলে সেখান থেকে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অভিযুক্তকে এ দিন বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। ২৫ ডিসেম্বর অভিযুক্তকে ফের আদালতে তোলা হবে।”