মৃত্যু হল নিমতায় ‘আক্রান্ত’ ৮৫ বছরের বৃদ্ধার। সোমবার ভোররাতের দিকে বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ইতিমধ্যে বৃদ্ধার বাড়িতে গিয়েছেন দমদম উত্তরের বিজেপি প্রার্থী অর্চনা মজুমদার।
পরিবার সূত্রে খবর, ‘মারধরের’ পর ১ মার্চ বাড়িতে এসেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, অর্জুন সিংরা। তারপর মার্চের গোড়ার দিকে বৃদ্ধাকে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়। তারইমধ্যে দিনচারেক আগেই তিনি বাড়িতে ফেরেন। তারপর সোমবার ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিমতা পাটনা স্কুল রোডে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তাঁর অশীতিপর বৃদ্ধা মা’কে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। গোপাল মজুমদার নামে ওই বিজেপিকর্মী অভিযোগ করেছিলেন, তিনজন তৃণমূলকর্মী বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করে শাসকদলের ওই কর্মীরা। তাঁর মা বাধা দিতে এলে তাঁকে ধরেও বেধড়ক করা হয়। সেই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে ‘বাংলার মেয়েরা’ সুরক্ষিত নন বলে অভিযোগ তুলে আসরে নামে বিজেপি। বৃদ্ধার মুখের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। কলকাতায় ব্রিগেড সমাবেশে নাম না করে নিমতার বৃদ্ধার উপর আক্রমণ নিয়ে মমতা সরকারকে আক্রমণ শানান নরেন্দ্র মোদীও।
যদিও বৃদ্ধাকে মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের যোগের অভিযোগ উড়িয়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়রা। নিজেকে বৃদ্ধার নাতি হিসেবে দাবি করা গোবিন্দ মজুমদার নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘দিদার উপরে হামলা করা হয়নি। তিনি তিন বছর ধরে তিনি শয্যাশায়ী।’ সেই দাবি-পালটা দাবির মধ্যেই পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে ব্যারাকপুর সিটি পুলিশ। অভিযুক্তরা সকলেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, প্রকৃত অভিযুক্তদের আড়াল করা হয়েছে।