ইনফ্লুয়েঞ্জা এ প্রজাতির আতঙ্ক দেশজুড়ে। বাংলায় আবার অ্যাডেনোভাইরাস বিভীষিকা হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ভারতে মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জা (Influenza) দুই উপপ্রজাতি H3N2 ও H3N1 প্রতি বছরই থাবা বসায়। মরসুমি জ্বরে আক্রান্ত হয় বহু। এ বছরও তাই হয়েছে।
মার্চের শেষ থেকেই ভাইরাসের উপদ্রব কমে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
ইনফ্লুয়েঞ্জার হানায় কর্নাটক ও হরিয়ানায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার এই সাবটাইপ সবচেয়ে বেশি ছোঁয়াচে ও বিপজ্জনক। পাখি ও অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণিদের শরীরেও ছড়াতে পারে এই ভাইরাস। বহুবার জিনের বদল ঘটাতে পারে। বিজ্ঞানীদের দাবি, এর আগে এই উপপ্রজাতি তার জিনের বিন্যাসের বদল ঘটিয়েছিল। তাই এত ছোঁয়াচে হয়ে উঠেছে।
স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বলছেন, জ্বর, কাশি, শ্বাসের সমস্যা হচ্ছে এই ভাইরাসের প্রভাবে। অন্তত মাস দুয়েক থাকছে উপসর্গ। জ্বর-সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের লক্ষণই বেশি দেখা যাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ ও কর্নাটকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এই উপরূপ এইচ৩এন২। এই ভাইরাসের সংক্রমণে যে জ্বর হচ্ছে তার নাম হংকং ফ্লু (Hong Kong Flu)।
মার্চের পর থেকেই এই ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট কমবে বলে আশ্বাস দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বর (fever) হলেই অযথা আতঙ্কিত হবেন না। ডাক্তারকে না জিজ্ঞেস করে মুঠো মুঠো অ্য়ান্টিবায়োটিকও খাবেন না। জ্বর (fever) আসার দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে বেসিক রক্তপরীক্ষাগুলি করান। জ্বর আসার সঙ্গে সঙ্গে রক্তপরীক্ষা করালে সমস্ত রিপোর্টই নেগেটিভ আসার সম্ভাবনা বেশি। ‘বেসিক পরীক্ষা’ মানে আগে রুটিন ব্লাড কাউন্ট দেখা দরকার। তা থেকেও বোঝা যায় কী কারণে জ্বর হয়েছে।
হাল্কা গা ম্যাজম্যাজে ভাব থাকলে চিন্তার কিছু নেই। ঘরেতেই ক’দিন বিশ্রামে থাকুন। গরম জলের ভাপ নিন। হালকা খাবার খান। পর্যাপ্ত তরল খাবার খেতে হবে। বেশি করে জল খান। জ্বর বাড়লে প্যারাসিটামল খান। মাস্ক পরে বাড়ির অন্যদের থেকে দূরে থাকুন। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের (Viral Fever) সংক্রমণ থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ফলে পরিবারের অন্য কারও সূত্রে করোনা ঘরে এলে সবার প্রথমে তা রোগীর শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে।