বিজেপি চায়নি এখন উপনির্বাচন হোক। অনেক চেষ্টা করেও তা আটকাতে পারেনি। তাই এবার দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে বিধিভঙ্গের নালিশ ঠুকেছিল গেরুয়া শিবির। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে নালিশ ঠুকেছিল বিজেপি। সূত্রের খবর, সেই অভিযোগকে গুরুত্বই দেয়নি নির্বাচন কমিশন। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হতে পারে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। সেখানে প্রার্থী হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নির্বাচনের আবহে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছে বিজেপি নেতারা। উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরও রাজ্য কীভাবে এই ঘোষণা করতে পারে? তুলেছেন প্রশ্ন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিন বিজেপির সাংগঠনিক সহ–সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া যান নির্বাচন কমিশনে। সেখানে শিশিরবাবু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা বিধিভঙ্গের অভিযোগ করেছি। পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আড়াই হাজার পুজো কমিটি কলকাতায় আছে। নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে ক্লাবগুলিকে।’ যদিও তাদের এই বিধিভঙ্গের অভিযোগকে আমল দিতে নারাজ কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও মনোনয়ন পেশ করেননি। তাছাড়া অনুষ্ঠানটি হয়েছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। যা ভবানীপুর বিধানসভার বাইরে। আর ক্লাবগুলিকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা পুরনো। এটা নতুন করে নেওয়া কোনও সিদ্ধান্ত নয়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে করা বিজেপির অভিযোগ যুক্তিগ্রাহ্য নয়। এই কথা অবশ্য সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে আর্থিক অনুদানের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রত্যেকবারের মতোই রাজ্যের পুজো কমিটিগুলিকে এবারও দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা। বিদ্যুতের বিলে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। মকুব করা হয়েছে পুজোর লাইসেন্স ফি-ও। সবমিলিয়ে বড় ঘোষণা ছিল। ভোটে এই ঘোষণার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।