জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ২১ মার্চ ইডির হাতে গ্রেফতারির পর থেকে তাঁর ওজন কমে গিয়েছে প্রায় ৪.৫ কেজি। সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আম আদমি পার্টি (আপ)-র সূত্রে জানা গিয়েছে তেমনটাই। যদিও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের দাবি, জেলের মধ্যে আপাতত সুস্থই আছেন কেজরী। কারাগারের চিকিৎসকেরাও তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়ে কোনও উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।
উল্লেখ্য, আপপ্রধান কেজরীওয়ালের মধুমেহ রয়েছে। গত কয়েক দিন ধরেই তাঁর শরীরের শর্করার মাত্রা ওঠানামা করছে। কেজরীকে সোমবার বিকেলে তিহাড়ে নিয়ে যাওয়ার পর ‘সুগার টেস্ট’ করে দেখা যায়, তাঁর শরীরে শর্করার মাত্রা ৫০-এর নীচে নেমে গিয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়। এর পর মঙ্গলবার সকালেও তাঁর শরীরে শর্করার পরিমাণ কমের দিকেই ছিল। কেজরীওয়ালের মধুমেহ রোগ নিয়ে এর আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন তাঁর স্ত্রী সুনীতাও।
তবে তিহাড় কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত সুস্থই রয়েছেন কেজরীওয়াল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিরীক্ষণ করার জন্য সেন্সর বসানো হয়েছে। শরীরে শর্করার পরিমাণ যাতে হঠাৎ করে খুব কমে না যায়, তার জন্য লজেন্সও দেওয়া হয়েছে। জেলের চিকিৎসকদের নিয়মিত নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি, আপপ্রধানকে দুপুরে এবং রাতে বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তাঁর শরীরে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রতি দিন তাঁকে বাড়ির খাবার দেওয়া হবে। জেল সূত্রে খবর, কেজরীওয়াল মঙ্গলবার ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে স্ত্রী সুনীতার সঙ্গে কথা বলেছেন। আইনজীবীর সঙ্গেও দেখা করেছেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লির আবগারি মামলায় কেজরীওয়ালকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে তাঁকে। সোমবার বিকেলে কেজরী তিহাড়ে প্রবেশ করেছেন। তিহাড়ের দু’নম্বর সেলের ১৪ বাই ৮ ফুটের একটি কক্ষে আপাতত ঠাঁই হয়েছে তাঁর।