‘শাসন যাঁর, পুলিশ তাঁর।’ ভারতে এই রীতি চলে এসেছে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই। তবে এবার এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দেশের পুলিশ প্রশাসনকে ভর্ৎসনা করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। সুপ্রিম কোর্ট এক পর্যবেক্ষণে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে যে শাসকদলকে খুশি করতে যেখানে সেখানে পুলিশকে ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখা যায় দেশ। বৃহস্পতিবার এক মামলার প্রেক্ষিতে শুনানি চলাকালীন এই ট্রেন্ডকে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, শাসকদলকে খুশি করতে অনেক ক্ষেত্রেই বিরোধীদেরও হেনস্থা করা হয় বলে জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের এক পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছিল আয়ের তুলনায় বেশি সম্পত্তি রাখার অভিযোগে। পাশাপাশি সেই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল দেশদ্রোহিতার মামলা। সেই মামলার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন সেই অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক। সেই মামলার শুননিতেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শাসকদলকে খুশি করতে অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ আধিকারিকদের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে দেখা যায়। এই প্রেক্ষিতে অনেক সময় বিরোধীদের হেনস্তা করা হয়।’ পাশাপাশি এই ট্রেন্ডের জন্য শাসক দলকে দায়ী না করে পুলিশ আধিকারিকদেরই দায়ী করেন প্রধান বিচারপতি।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সম্প্রতি ১৯৯৪ সালের আইপিএস ক্যাডারের আধিকারিক গুরজিন্দর পাল সিংয়ের বিরুদ্ধে ছত্তিশগড় সরকার দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলেছে। এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেগুরজিন্দর পাল দাবি করেন, আগের বিজেপি সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার জেরে তাঁর বিরুদ্ধে এই ধরনের মামলা দায়ের এবং পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বর্তমান কংগ্রেস সরকারের তরফে। এই মামলার শুনানিতেই দেশের পুলিশি ব্যবস্থাকে ভর্ৎসনা করে ছত্তিশগড় সরকারকে গুরজিন্দরকে গ্রেফতার না করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।