বিরোধীরা পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে পঞ্চায়েত ভোটের পরেও রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে রাখার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তাতেই ভোট পরবর্তী হিংসা দমনে উচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, গণনার পর কমপক্ষে দশ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন থাকবে। সেই রায়কে হাতিয়ার করেই বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসার তথা বিএসএফের আইজি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্য পুলিশের মুখ চেয়ে থাকবে না। যেখানে অশান্তি ও হিংসার খবর পাবে সেখানেই বাহিনী যাবে। রাজ্য পুলিশের অনুমতির অপেক্ষা করবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী।
সংবিধান অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। রাজ্য সরকার না চাইলে সাধারণ পরিস্থিতিতে কেন্দ্র তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাছাড়া এখন নির্বাচনী আচরণবিধিও আর বলবৎ নেই। এদিন সেই যুক্তি দিয়েই রাজ্যের তরফে বিএসএফ কর্তাকে বলা হয়েছিল যে অশান্তির কোনও খবর পেলে জেলা পুলিশকে না জানিয়ে বাহিনী সেখানে যেতে পারবে না। কিন্তু এরপরই বিএসএফ কর্তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তারপর রাজ্য পুলিশের অনুমতির প্রয়োজন নেই। শুধু রাজ্যকে জানালেই হবে।
এরপরই রাজ্য সরকার তথা শাসক দলের বুঝতে দেরি হয়নি হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করার উপায় নেই। রাজ্যের বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার শর্ত এখানে আর কার্যকর হবে না। বরং রাজ্যে যদি ভোট পরবর্তী অশান্তি ও হিংসা অব্যাহত থাকে তাহলে রাজ্যে আরও বেশি দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকতে পারে। এটা আন্দাজ করার পরই নবান্ন থেকে সব জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেছেন মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তারপর সব জেলা শাসকের উদ্দেশ্যে কড়া নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, কোথাও কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটতে দেওয়া যাবে না। স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।