আন্তর্জাতিক আদালত (‘ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস’ বা আইসিজে) যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলে তা মেনে নেওয়া হবে। তবে সে ক্ষেত্রে হামাসের শর্ত দু’টি। প্রথমত, ইজ়রায়েলকেও যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইজ়রায়েল সেনা যতক্ষণ যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে, তারাও ততক্ষণই যুদ্ধবিরতি মানবে।
গাজ়ায় সক্রিয় প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনের তরফে একটি বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহে ইজ়রায়েল সরকার বন্দি বিনিময় এবং যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও হামাসের তরফে তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠীর তরফে অভিযোগ করা হয়, এর আগে দু’বার যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেই অসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েল ফৌজ।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ই়জ়রায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে গাজ়ার ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে নির্বিচার হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েলি বাহিনী। তাদের বোমা এবং গোলাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি সাধারণ প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গাজ়ায় ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেই মামলার শুনানি হয় গত ১১ এবং ১২ জানুয়ারি। ১১ তারিখ দক্ষিণ আফ্রিকার সওয়ালের পর ১২ জানুয়ারি তার জবাব দেন ইজ়রায়েলের প্রতিনিধিরা। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার যুক্তি দিয়েছিল, হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে আত্মরক্ষার অধিকার ইজ়রায়েলের রয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থনের অভিযোগও এনেছিল জেরুসালেম।