থিয়েটার কমান্ড গঠন নিয়ে সেনা, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা, প্রধানদের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এই বিষয়ে কোন বাহিনীর কোন কোন সংশয় রয়েছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্ভবত স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর খোলস বদল সংক্রান্ত বড় ঘোষণা করতে চলেছেন। তার আগে এই বিষয়ে যাতে সামরিক বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় থাকে, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত।
জানা গিয়েছে গত ২২ জুলাই জেনারেল বিপিন রাওয়াতের নেতৃত্বে তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে তিন বাহিনীর উপ-প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই চিন নিজেদের সামরিক বাহিনীকে বিভিন্ন থিয়েটার কমান্ডে ভাগ করেছে। সেই পথে হেঁটে ভারতও তাদের সামরিক শক্তির পূর্ণ ব্যবহার করতে চাইছে।
জানা গিয়েছে প্রস্তাবিত থিয়েটার কমান্ডের দুটি কমান্ড নির্দিষ্টভাবে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তের উপর নজর রেখে গঠন করা হবে। তিন বাহিনীর কাজকর্ম আরও নিখুঁত ও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার লক্ষ্যেই এই কমান্ড গঠন করা হবে। সরকার চায়, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থলসেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার মধ্যে বোঝাপড়া যেন মসৃণ হয়। সেই লক্ষ্যেই এই নয়া কমান্ড তৈরি করতে চায় সরকার। চিনের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকবে ‘নর্দার্ন থিয়েটার কমান্ড’। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার নতুন ‘ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড’। এ ছাড়া থাকছে তৃতীয় থিয়েটার কম্যান্ড ‘পেনিনসুলার কমান্ড’। চতুর্থটি পুরোপুরি বায়ুসেনার নিজস্ব থিয়েটার কমান্ড হবে। পঞ্চমটি পুরোপুরি নৌসেনা কমান্ড। এটি সম্পূর্ভাবে আন্দামান নিকোবর কেন্দ্রিক হবে।
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমস রিপোর্ট করে জানিয়েছিল যে এই থিয়েটার গঠনে পুরোপুরি সম্মত নয় বায়ুসেনা। যদিও পরবর্তীতে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত দাবি করেন যে যেকোনও সংস্কারে কিছু বাধা বিপত্তি আসে, তবে থিয়েটার গঠনের ক্ষেত্রে সব বাহিনী সহমত পোষণ করছে। তবে এই কমান্ড গঠন করতে গিয়ে যাতে সামরিক গঠনতন্ত্র যাতে নড়বড়ে না হয়, সেদিকে নজর দিতেই এই বৈঠকের ডাক দেন জেনারেল বিপিন রাওয়াত।