বাসভাড়া অপরিবর্তিত থাকলেও ধীরে ধীরে রাস্তায় বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে শুরু করল মালিক সংগঠনগুলি। কলকাতা ও লাগোয়া অধিকাংশ মালিক সংগঠনই রাস্তায় আরও বাস নামানো হবে বলে জানিয়েছে। ব্যতিক্রম শুধু জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট।
সোমবার পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে বাসমালিকদের বৈঠক ব্যর্থ হয়। বাসমালিকরা ন্যূনতম ভাড়া ১০ টাকা করার দাবি জানালেও তাতে কান দেননি পরিবহণমন্ত্রী। উলটে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে অক্টোবর পর্যন্ত ভাড়াবৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। এর পরই বাস রাস্তায় নামানো নিয়ে ধন্দে পড়েন মালিকরা।
গত ১ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। মালিকদের দাবি জ্বালানি ও অন্যান্য জিনিসের দাম যে হারে বেড়েছে তাতে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো সম্ভব নয়। যে কদিন বাস রাস্তায় নেমেছে প্রত্যেকদিন লোকসান হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এরই মধ্যে সরকারি ভর্তুকির আশায় রাস্তায় বাস বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল একাধিক মালিক সংগঠন।
মিনিবাস চালকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে আরও ৫০০ বাস রাস্তায় নামাবেন তাঁরা। এর ফলে কলকাতার রাস্তায় মোট মিনিবাসের সংখ্যা হবে ১,০০০। সিটি সুবার্বান বাস ইউনিয় মোট ১০০০ বাস নামাবে বলে জানিয়েছে। বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটও বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে।
বাস মালিকদের সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, পুরনো ভাড়াতেই চলবে বাস। তবে যাত্রীদের কাছে ন্যূনতম ১০ টাকা ভাড়া দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।
সরকারের তরফে যদিও দাবি, করোনা পরিস্থিতি চিরস্থায়ী নয়। তাই এক লাফে ৩ টাকা বাসভাড়া বাড়ালে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে তখন ভাড়া কমানোর ব্যাপারে সহযোগিতা না ও করতে পারে মালিক সংগঠনগুলি। তাই ভেবে চিন্তে পা ফেলতে চাইছে সরকার।