দিল্লির কালকাজি মন্দিরে দুর্ঘটনা। রাতে ভজনের সময়ে মন্দিরের মঞ্চ ভেঙে পড়ে অনেকে আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। আহতদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহতের সংখ্যা অন্তত ১৭।
শুক্রবার রাত থেকে কালকাজি মন্দিরে কালীর ভজন শুরু হয়েছিল। ‘জাগরণ’ বা ‘জাগ্রত’ ব্রত ছিল ওই রাতে। বহু পুণ্যার্থী মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিলেন। ‘জাগরণ’-এর নিয়ম অনুয়ায়ী সারা রাত ধরে মন্দিরে কালীর ভজন এবং পূজার্চনার আয়োজন করা হয়। পুণ্যার্থীরা সারা রাত জেগে তাতে অংশ নেন। নাচে, গানে মেতে উঠেছিল রাতের কালকাজি মন্দির।
শনিবার সারা দিন অনুষ্ঠান হয়। সে দিনও রাত জাগেন ভক্তেরা। সে দিন গভীর রাতে দিকে কালীর ব্রতপাঠের সময়ে ভক্তেরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন বলে খবর। অনেকেই মঞ্চে উঠে পড়েন। আর তাতেই বিপত্তি বাঁধে। অতিরিক্ত চাপ সহ্য করতে না পেরে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে হুড়মুড়িয়ে।
মঞ্চে চাপা পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এখনও মহিলার পরিচয় জানা যায়নি। কালকাজি মন্দির থেকে আহতদের সফদরজং হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল এবং এইমসের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আহতদের কারও কারও হাত, পা ভেঙেছে। কিন্তু আপাতত সকলের অবস্থাই স্থিতিশীল।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দিল্লি পুলিশ। দক্ষিণ দিল্লির ডিসিপি রাজেশ দেও জানিয়েছেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য অনুমতিই দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার রাত থেকে ওই মন্দিরে কালীর ভজন উপলক্ষে দেড় হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তবে মন্দির চত্বরে নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য উপযুক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল।
ডিসিপি আরও জানিয়েছেন, এত মানুষের বসার ব্যবস্থা করার জন্য মন্দিরের মূল মঞ্চের সামনে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। কাঠ এবং লোহা দিয়ে তৈরি ওই মঞ্চের নীচেও কেউ কেউ বসেছিলেন। মঞ্চ ভেঙে পড়ায় তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি চোট লেগেছে। আয়োজকদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।