মাঠে সাপ ঢুকে পড়া, আলো নিভে যাওয়া, কিছুরই দায় নিল না অসম ক্রিকেট সংস্থা

রবিবার বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-২০ ম্যাচে এক বার মাঠে সাপ ঢুকে পড়া ও পরে স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। ফ্লাডলাইটের জন্য খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ২০ মিনিট। ঘটনার তীব্র সমালোচনার মধ্যেও দায়িত্ব এড়িয়ে উল্টে অসম ক্রিকেট অ্যাসেসিয়েশন দাবি করল, আলো বন্ধ হওয়া সাধারণ যান্ত্রিক ত্রুটি।

এসিএর সাধারণ সম্পাদক দেবজিৎ শইকিয়া সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, খেলার মধ্যে সাপ মাঠে ঢোকায় বিপদ তো কিছু হয়নি, বরং এটা একটা অতিরিক্ত বিনোদন হল। দেবজিৎ বলেন, ‘‘বর্ষাপাড়া স্টেডিয়াম এলাকা আগে বৃহৎ জলাশয় ও সাপেদের স্বর্গ ছিল। গত দুই বছর যেহেতু এখানে কোনও খেলা হয়নি তাই সাপ বেরোনো কোনও বড় ব্যাপার নয়। খেলার মধ্যে সাপ ঢোকায় ৩-৪ মিনিট ম্যাচ বন্ধ থাকলেও সাপ দেখে সকলেই ভিন্ন স্বাদের আনন্দ পেয়েছেন।’’ ফ্লাডলাইট বন্ধ হওয়া নিয়ে শইকিয়ার দাবি, ‘‘এটি স্বাভাবিক ও সাধারণ কারিগরি বিচ্যুতি। চিত্রসাংবাদিকদের ক্যামেরা, দর্শকদের মোবাইলও তো কখনও খারাপ হতে পারে। মাঠের ৪৮০টি ফ্লাড লাইটের দেড়শোটির ফিউজ খারাপ ছিল। আমরা ২২০টির ফিউজ বদলে দিয়েছিলাম। আরও ফিউজ নিয়ে তৈরিও ছিলাম। তাই আলো নিভলেও ফের খেলা শুরু করতে বেশি দেরি হয়নি। ১৫টি জেনারেটর কাজ করছিল।’’

বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা গুয়াহাটির পরিবেশ ও দর্শকদের ধন্যবাদ দিয়ে শহর ছাড়লেও সামাজিক মাধ্যমে এসিএকে কার্যত তুলোধোনা করা হচ্ছে। কিন্তু শইকিয়ার দাবি, বিসিসিআই খুব খুশি। পরের মরসুমে আইপিএলের কয়োকটি ম্যাচ সেখানে হবে বলে তাঁরা আশাবাদী। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেছেন, ‘‘অসম ক্রিকেট সংগঠন সুচারুভাবে ম্যাচ পরিচালনা করেছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে প্রথম বার অসমে টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করা যায়।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.