তিস্তা পাড়ে একের পর এক বিস্ফোরক নিষ্ক্রীয় করল সেনা। সিকিমের বন্যায় জলপাইগুড়ির তিস্তায় ভেসে আসা সেনা ক্যাম্পের বিস্ফোরক, মর্টার শেল তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা বাড়িতে নিয়ে যায়। কেউ কাঁধে তুলে আবার অনেকে হাতে করে বিস্ফোরক নিয়ে এসে যত্ন সহকারে ঘরে আবার অনেকে আলমারিতেও নাকি রেখে দিয়েছিলেন। ক্রান্তির বিস্ফোরণের পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আতঙ্ক শুরু হয় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। এরপর বাড়িতে রাখা বিস্ফোরক তিস্তা পাড়ের উত্তর সুকান্ত নগর, বিবেকানন্দপল্লী সহ বিভিন্ন এলাকায় ধান ক্ষেতে, রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায়।
মঙ্গলবার সেনা বাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিস্ফোরকগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়। ধান ক্ষেতে ফেলে রাখা রকেট লনচারে অসংখ্য বালির বস্তা দিয়ে চাপা দেওয়া হয়। এরপর টাইমার সেট করে বিস্ফোরণ করা হয়। স্থানীয়দের প্রায় তিনশো মিটার দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, রকেট লনচারের আওয়াজে কেঁপে উঠে এলাকা। এইভাবে এদিন দিনভর তিস্তা পাড়ের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ করা হয় তিস্তায় ভেসে আসা বিস্ফোরক।
জানা গিয়েছে, তিস্তায় ভেসে আসা বিস্ফোরকগুলির মধ্যে বিভিন্ন ধরণের বিস্ফোরক ছিল। মর্টার শেল, রকেট লনচার সহ একাধিক বিস্ফোরক, যা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করে থাকে সেনারা। স্থানীয় বাসিন্দা তথা পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী মনু সরকার বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দারা তো নদীতে ভেসে আসা বিস্ফোরকগুলি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। ক্রান্তির ঘটনার পর সব বিস্ফোরক বাড়ির বাইরে ফেলে দেওয়া হয়। এই নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। আজ সেনা ও পুলিশ এসে বিস্ফোরকগুলি নিষ্ক্রীয় করল। এর জেরে কিছুটা স্বস্তিতে এলাকাবাসী।”