বৃহস্পতিবার প্রয়াত হয়েছেন অভিনেত্রী তথা গায়িকা সুলক্ষণা পণ্ডিত। ৭০ ও ৮০-র দশকের চর্চিত অভিনেত্রী ছিলেন তিনি। সঞ্জীবকুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা আজও উঠে আসে আলোচনায়। পাশাপাশি তিনি সঙ্গীতপরিচালক জুটি যতীন-ললিতের বোন। মৃত্যুর পরে সুলক্ষণাকে নিয়ে উঠে আসছে এমন নানা তথ্য। প্রকাশ্যে এল তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও।
সঙ্গীতের পরিবারে জন্ম সুলক্ষণা ও যতীন-ললিতের। তাঁদের বাবা ছিলেন পণ্ডিত প্রতাপ নারায়ণ এবং কাকা ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত যশরাজ। যতীন-ললিত ছাড়াও আরও দুই বোন এবং দুই ভাই রয়েছে সুলক্ষণার। বিজয়তা ও সুলক্ষণা এসেছিলেন অভিনয়জগতে।
জানা যাচ্ছে, ২০২৩-এর ১১ ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী সুলক্ষণার সম্পত্তির পরিমাণ ৪৪৩ কোটি টাকা। তবে একসময়ে আর্থিক অনটনের মধ্যেও পড়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে বোন বিজয়তা পণ্ডিতের উপর নির্ভর করতেন বলে শোনা যায়। বিজয়তা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সুলক্ষণার শারীরিক সমস্যার জন্য বেশ খরচ হত। সেই সময়ে আর্থিক অনটনে পড়েছিলেন সুলক্ষণা।
উল্লেখ্য, মৃত্যুকালে সুলক্ষণার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সঞ্জীবকুমারের প্রেমে পড়েছিলেন সুলক্ষণা। ১৯৭৫ সালে তাঁর প্রথম ছবি ‘উলঝন’ মুক্তি পায়। সেই প্রথম পরস্পরের মুখোমুখি হন তাঁরা। এর পর একে একে ‘সঙ্কোচ’, ‘হেরাফেরি’, ‘অপনাপন’, ‘খানদান’-এর মতো ছবির নায়িকা তিনি। শোনা যায়, সঞ্জীবকুমারের সঙ্গে ‘উলঝন’ ছাড়া আর কোনও ছবিতেই নাকি পর্দাভাগ করেননি। তার পরেও একতরফা প্রেমে ডুবে থেকেছেন সুলক্ষণা। সঞ্জীবকুমারের জীবন নিয়ে পরে একটি বই লেখেন হানিফ জ়াভেরি। তিনি সেখানে লিখেছেন, ‘অঙ্গুর’ ছবির সময় থেকেই নাকি নায়ককে চোখে হারাতেন তাঁর স্বঘোষিত নায়িকা ‘প্রেমিকা’!

