‘‌ভয়ঙ্কর ইউনিয়নবাজি’‌, আচার্য–উপাচার্যরা বৈঠকে অনুপস্থিত, হুঁশিয়ারি ধনখড়ের

কখনও তিনি রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তো কখনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু তার পরও রফাসূত্র বেরিয়ে আসছে না। তাতে তিনি আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন। টুইট করছেন বিষয়গুলি নিয়ে। হ্যাঁ, তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পেগাসাস নথির জন্য তিনি রাজ্য সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দ্বিতীয়বারের আমন্ত্রণেও সাড়া দিল না বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যরা। প্রথমবার আমন্ত্রণেও অনুপস্থিত ছিলেন তাঁরা। দ্বিতীয়বারও একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় টুইটে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি–কে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তদন্তের ইঙ্গিতও দিয়েছেন।

ঠিক কী ঘটেছে?‌ রাজভবন সূত্রে খবর, এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যদের ২০ ডিসেম্বর বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তাতে কেউ সাড়া দেননি। তারপর আবার ২৩ ডিসেম্বর রাজভবনে রাজ্যের ১১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তাতেও কেউ কর্ণপাত করেননি। এই পর পর ডাকে সাড়া না দেওয়ায় বেজায় চটেছেন রাজ্যপাল।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এই ঘটনার পরই তিনি টুইট করেন। সেখানে শূন্য চেয়ারের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। কী লিখেছেন রাজ্যপাল টুইটে?‌ একটি চিঠি–সহ রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, ‘‌রাজভবনে প্রত্যেকটি বৈঠক কোভিড প্রোটোকল মেনে করা হয়। আপনাদের অজুহাত ঠিক নয়। সম্ভবত আপনারা সরকারের ভয়ে আসছেন না। আগামী ২৩ ডিসেম্বর বৈঠকের নতুন নির্ঘন্ট ঠিক করা হয়েছে। আশাকরি আপনারা আসবেন।’‌

তবে ২৩ ডিসেম্বরের বৈঠকেও কেউ উপস্থিত না থাকায় তিনি লেখেন, ‘‌শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কোনও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য–আচার্যরা না আসায় আমি উদ্বিগ্ন। ভয়ঙ্কর ইউনিয়নবাজি।’‌ রাজ্যপালের এই টুইট নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এরপর কোন পথে হাঁটে রাজভবন এখন সেটাই দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.