ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ় থেকে ছিটকে গিয়েছেন তিনি। ভারতের দুই পেসার মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ়ের বোলিং তাঁকে বার বার সমস্যায় ফেলেছে। হাতের হাড়ে চিড় ধরায় টেস্ট সিরিজ়ে আর খেলতে পারবেন না ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে গিয়েছেন তিনি। আর দেশে ফিরেই তাঁর মুখে অবসরের ইঙ্গিত। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডকে নিশানা করেছেন ওয়ার্নার।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে জঘন্য ব্যাটিং করেছেন ওয়ার্নার। তিন ইনিংসে যথাক্রমে ১,১০ ও ১৫ রান করেছেন তিনি। ভারতীয় পেসারদের সামনে দুর্বল দেখিয়েছে তাঁকে। তাই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের আতশকাচের নীচে এই বাঁ হাতি ব্যাটার। তাঁর বদলে ওপেন করতে নেমে ভাল খেলেছেন ট্রাভিস হেড। তা হলে কি দলে ওয়ার্নারের জায়গা গেল? প্রশ্ন উঠছে। সেই প্রশ্নের জবাব নিজেই দিয়েছেন ওয়ার্নার।
অস্ট্রেলিয়ায় ফিরে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন ওয়ার্নার। বলেছেন, ‘‘আমি বরাবর বলে এসেছি যে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টেস্ট খেলতে চাই। কিন্তু যদি নির্বাচকদের মনে হয় আমি তার যোগ্য নই তা হলে সেটা আমাকে জানিয়ে দিক। তা হলে আমি শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে মন দিতে পারি।’’
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিশতরান করেছিলেন ওয়ার্নার। তাঁর মতে, ছন্দ হারাননি তিনি। শুধু বয়স বেড়ে যাওয়ায় নিশানা করা হচ্ছে তাঁকে। ওয়ার্নার বলেছেন, ‘‘৩৬-৩৭ বছরের এক ক্রিকেটারকে নিশানা করা সহজ। আমি এগুলো আগেও দেখেছি। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটারের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। আমার কাজ বাকি ক্রিকেটারদের উপর থেকে চাপ কমানো। সেটাই আমি করে আসি। কয়েক সপ্তাহ আগেই দ্বিশতরান করেছি। তাই ছন্দ নেই, এ কথা কেউ বলতে পারবে না।’’
ওয়ার্নার মুখে যাই বলুন না কেন, তাঁর ব্যাটিং কিন্তু অন্য কথা বলছে। গত ১৮ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওই একটি দ্বিশতরান ছাড়া আর তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি তিনি। আগে যে ভাবে তিনি দাপট দেখাতেন, বিপক্ষ বোলারদের ছন্দ নষ্ট করে ফেলতেন সে সব এখন দেখা যায় না। তাঁর ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছে, ভয়ে ভয়ে খেলছেন। তাই কি তাঁর মনে দল থেকে বাদ পড়ার ভয় ঢুকে গিয়েছে? সেই কারণেই হয়তো দেশে ফিরে অবসরের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন অসি ব্যাটার।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ১০৩টি টেস্টে ৮১৫৮ রান করেছেন ওয়ার্নার। ১৪১টি এক দিনের ম্যাচে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬০০৭ রান। দেশের হয়ে ৯৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৮৯৪ রান করেছেন তিনি। ওয়ার্নারই অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র ক্রিকেটার যিনি ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে সরাসরি সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। কিন্তু সেখানে কি তাঁর জায়গা নড়বড়ে? তাই কি অবসরের কথা ওয়ার্নারের মুখে?