বর্ধমানের কার্জন গেট এলাকার বৈদ্যনাথ কাটরা বাজার। দিনের বেশিরভাগ সময়ই ব্যস্ত থাকে এলাকা। সেখানেই ভয়াবহ ব্যাঙ্ক ডাকাতি। পঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের শাখায় হানা দিয়েছিল ডাকাতদল। মুখ ঢাকা ছিল তাদের। পিঠে ছিল স্কুল ব্যাগ। ব্যাঙ্ক কর্মীদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারধর করে নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে ব্যাঙ্ক তখন সবে খুলেছে। সেই সময় ব্যাঙ্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে ৫-৬জন দুষ্কৃতী। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ব্যাঙ্ক কর্মীদের ভয় দেখাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। এরপরই শুরু হয় লুঠপাট। লকারের চাবির জন্য চাপ দিতে থাকে দুষ্কৃতীরা। চাবি দিতে দেরি করায় দুজন কর্মীকে আঘাতও করা হয় বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা নিয়ে দুষ্কৃতীরা চম্পট দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এক মহিলা গ্রাহক অনিতা সরকার বলেন, রিভালবার দেখিয়ে আমাকে বলল চুপ করে বসে থাকতে। ৫জনের হাতে রিভালবার ছিল। আমাদের মোবাইলগুলো রেখে দিয়েছিল। পরে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাইরে থেকে তালা দিয়ে বেরিয়ে গেল। এক ব্যাঙ্ক কর্মীর স্ত্রী বলেন, ডাকাতগুলো ভদ্রভাবে হিন্দিতে বলল, সাইডে বসুন। কিছু করব না। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা নিয়ে গিয়েছে। ভল্টের চাবি খুলেছিল। সিট গঠন করা হচ্ছে।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়েই জেলা পুলিশ সুপার সহ পদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। ডাকাতদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং শুরু হয়েছে।স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম তৈরি করা হচ্ছে। এদিকে গ্রাহকের দাবি, ব্যাঙ্কে ঢুকেই দেখলাম চারদিক শুনশান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক দুষ্কৃতী এসে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিল। এরপরই লুঠপাট শুরু করে তারা। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে একেবারে জনবহুল এলাকায় কীভাবে এত বড় ডাকাতির ঘটনা হল?