সিকিম, দার্জিলিং পাহাড়ে টানা বৃষ্টিতে আবার ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা। জলস্তর বেড়ে উত্তরবঙ্গের সমতলে জলপাইগুড়ির একাংশ ছাড়াও ভাসল কালিম্পঙের তিস্তাপার। শনিবারই তিস্তাবাজারের বাসিন্দাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা ‘জলবন্দি’ হয়ে থাকতে হয়েছে। দুপুরের পর জল কিছুটা নেমেছিল। শনিবার রাত থেকে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় আবার জলস্ফীতি দেখা গিয়েছে তিস্তায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গ্যাংটকে ২২.২, গেইলসিংয়ে ৫৫.৪, সোরেংয়ে ৫০.০, দার্জিলিংয়ে ১১৬.৬, কালিম্পঙে ৯৯.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এর জেরে সিকিমে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। রবিবার সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় তিস্তাবাজার এলাকায়। জল বইছে তিস্তাবাজার থেকে মেল্লি হয়ে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি খানিক কমলেও তিস্তার জলস্তর এখনও সেই ভাবে কমেনি। সেলফিদাড়া, রম্ভির মতো এলাকায় তিস্তার স্রোতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। রম্ভির একপাশে ৭.৯ পয়েন্টে পাহাড় কাটার কাজ চলায় বন্ধ রাখা হয়েছে রাস্তা। ২৮ মাইলে রাস্তা সম্পূর্ণ ভাবে বসে গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সেলফিদাড়ায় রাস্তায় একটি অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। কিছু অংশ বসে গিয়েছে কয়েক ফুট নীচে। কার্যত একই পরিস্থিতি লোহাপুল, ২৯ মাইল, কালিঝোরার কিছু অংশে। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, অতীতে এমন পরিস্থিতি হয়েছে। জল এ রকম উঠে আসত। আবার নেমে যেত। যখন জল নামত, তখন তাঁরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে চলে আসতেন। ফলে ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হত না সাধারণ মানুষকে। কিন্তু এ বার জাতীয় সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঘর থেকেই বেরোতে পারছেন না তাঁরা। এক স্থানীয়ের কথায়, ‘‘১০ নম্বর জাতীয় সড়ক সিকিমের লাইফলাইন। যান চলাচল যত দিন না স্বাভাবিক হচ্ছে, আমাদের দুর্দশার শেষ নেই।’’