সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচিতি ও ঘনিষ্ঠতা। সেই সম্পর্ক গড়াল ধর্ষণে। তার পরের ঘটনা আরও মারাত্মক। ইউটিউবে ভিডিয়ো দেখে ঘরেই সন্তান প্রসব করল ১৫ বছরের ওই গর্ভবতী কিশোরী। লোকলজ্জার ভয় সেই নবজাতককে খুন করে ফেলল কিশোরী মা। কিশোরীর ওই কাণ্ডের কথা জেনে তাজ্জব নাগপুর পুলিস।
স্কুলপড়ুয়া ওই কিশোরীর মা অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। স্বামী আলাদা থাকেন। মায়ের ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতেই ইনস্টাগ্রামে পরিচয় একজনের সঙ্গে। সেই যুবকের সঙ্গেই ক্রমে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ওই কিশোরী। তাতেই গর্ভবতী হয়ে পড়ে সে। ভয় ও অপরাধবোধের কারণে মাকে কিছু বলতে পারেনি।
পুলিস সূত্রে খবর, গর্ভাবস্থার বিষয়টি মায়ের কাছে লুকোতে পেটের সমস্যার কথা বলে এড়িয়ে যেত। গত ২ মার্চ তার মা কাজে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় কিশোরীর। তখনই সে ইউটিউব খুলে প্রসব করানোর ভিডিয়ো বের করে সেই অনুযায়ী তার সন্তান প্রসব করে। শিশুটিকে খানিকক্ষণ একটি পাত্রে রাখে। তার পরই তার মাথায় খেলে যে তার অবৈধ সম্পর্ক ও লোকলজ্জার বিষয়টি। শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে সে। পুলিসের সন্দেহ, সন্তান প্রসবের সময় তার কাছে ছিল অন্য কেউ।
এদিকে, কিশোরীর মা বাড়ি ফিরে দেখেন মেঝেতে তখনও রক্ত লেগে রয়েছে। শুরু হয় জেরা। সব শুনে চমকে ওঠে কিশোরীর মা। আঁত্কে ওঠেন মৃত শিশুটিকে দেখে। মেয়ের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে সঙ্গেই সঙ্গেই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন কিশোরীর মা। সেখানেই চিকিত্সক পুলিসকে খবর দেন। পুলিস ওই কিশোরীকে জেরা করে জানতে পেরেছে মদ খাইয়ে তাকে ধর্ষণ করে তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হওয়া প্রেমিক। তাকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিস।