চলতি বিশ্বকাপে (World Cup 2023) ভারতীয় দলের (Team India) ট্রেনিং কিট সকলেরই নজর কেড়ে নিয়েছে। চেনা লাল-নীল-ধূসরের বদলে রোহিত শর্মা অ্য়ান্ড কোংয়ের গায়ে উঠেছে কমলা রং! ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতীয় দল যে অ্যাওয়ে জার্সি বেছে নিয়েছিল, তার রং ছিল কমলা। এবার ভারত বেছে নিয়েছে ডাচ অরেঞ্জ। নেদারল্য়ান্ডসের জাতীয় ফুটবল দলের রঙেই নিজেদের রাঙিয়েছে টিম।
এই বিশেষ জার্সিতে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্য়দের দেখে চরম ট্রোল করে ফেলল সুইগি! দেশের জনপ্রিয় ফুড অর্ডারিং ও ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম সরস ট্যুইট (অধুনা এক্স) করে শোরগোল ফেলে দিল। ঘটনাচক্রে সুইগির ডেলিভারি বয়দের পরনেও এই ডাচ অরেঞ্জ দেখা যায়। সুইগি মুফাদ্দল ভোহরার ট্যুইট ধরে লেখে, ‘দেখে মনে হচ্ছে আমাদের ছেলেরা ডেলিভারির (বিশ্বকাপ) জন্য তৈরি।’ এই পোস্ট কার্যত ঝড় তুলে দিয়েছে সোশ্য়াল মিডিয়ায়। যা দেখে হাসিই থামছে না নেটাগরিকদের….
গত জুনে অ্যাডিডাস কিট স্পনসর হওয়ার পর থেকে বিরাটরা কালো ও আকাশি নীল ট্রেনিং কিট ব্যবহার করেছেন। মনে করা হচ্ছে যে, হাল্কা রংয়ের তুলনায় কালো যেহেতু অনেক বেশি তাপ শুষে নেয়, সেহেতু কালো বাদ দেওয়া হয়েছে বিরাটদের কিট থেকে। গত ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্বকাপের অফিসিয়াল অ্যান্থেম ‘দিল জশন বোলে’ মুক্তি পেয়েছিল। আর এরপরেই অ্যাডিডাস নিয়ে এসেছিল রোহিতদের নতুন জার্সির ভিডিয়ো। এশিয়া কাপের জার্সিটাই রাখা হয়েছে বিশ্বকাপে। তবে কাঁধের তিনটি সাদা স্ট্রাইপের বদলে ফুটে উঠেছে তেরঙা স্ট্রাইপ। যা জার্সির জৌলুস আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে গত জুনের আগে পর্যন্ত জ্বলজ্বল করত কিলার। তবে রোহিতদের অ্যাপারেল স্পনসর হিসেবে এসেছে অ্যাডিডাস। কিলারকে সরিয়ে দিয়েছে ইউরোপের সবচেয়ে বড় ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রীড়াপোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থা। বিসিসিআইএর সঙ্গে অ্যাডিডাসের পাঁচ বছরের চুক্তি হয়েছে ২৫০ কোটি টাকায়। ব্র্যান্ড হিসাবে কিলারের সেঅর্থে সুখ্যাতি-সম্পন্ন নয়। সেদিক থেকে অ্যাডিডাসের পরিচিতি এক ডাকেই। বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ,জুভেন্তাস, রিয়াল মাদ্রিদ ও আর্সেনালের মতো ক্লাবের কিট স্পনসর অ্যাডিডাস। বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ডের ডাক ফেরাতে পারেনি তারা।
২০১৬-২০২০ পর্যন্ত নাইকের সঙ্গে ৩৭০ কোটি টাকার (আলাদা ৩০ কোটির রয়্যালটি) চুক্তি ছিল ভারতের। তবে তারপর থেকেই এমপিএল (২০২০-২০২৩ ডিসেম্বর) বা কিলারের (বিগত এক মাসের কিছু বেশি) মতো ব্র্যান্ডের হাত ধরেছিল দল। ভারতীয় দলের ভাবমূর্তি ও ওজনের সঙ্গে যে ব্র্যান্ডগুলি ছিল একেবারেই বেমানান। নাইকের সমকক্ষ একেবারেই ছিল না কেউই। এবার অ্যাডিডাসকে এনে ভারত নিজেদের ব্র্যান্ডভ্যালুর সুবিচার করেছে।
১২ বছর পর ফের ভারতে বিশ্বকাপ। এবার ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ নিয়ে মোট ১২টি শহরের ডজন ভেন্যু বেছে নেওয়া হয়েছে বিশ্বকাপ আয়োজন করার জন্য। ৫ অক্টোবর থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৪৮ ম্যাচের বিশ্বযুদ্ধের আসর বসবে- আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, ধরমশালা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনউ মুম্বই ও পুণেতে।