নতুন ডানায় ভর দিয়ে উড়ান শুরু করল এয়ার ইন্ডিয়া। শুক্রবার প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমান সংস্থাকে কিনে নিল টাটা গ্রুপ। এদিন বিকেল ৪টের সময় সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকারের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেনার ভারে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া। উপায় হিসাবে তাই বিলগ্নিকরণেই আস্থা ছিল কেন্দ্রের। কেন্দ্রীয় সরকার গত সপ্তাহের শুরুতে এয়ার ইন্ডিয়ার দরপত্র মূল্যায়ন শুরু করে। সূত্রের খবর, নিলামে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন স্পাইসজেটের প্রধান অজয় সিং। তাঁদের দরপত্র ছিল প্রায় ১৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
১৯৩২ সালে ভারত স্বাধীন হওয়ার আগে টাটা গোষ্ঠী এয়ার ইন্ডিয়াকে কিনে নেয়। তখন তার নাম ছিল টাটা এয়ারলাইন্স। এরপর ১৯৫৩ সালে এয়ার ইন্ডিয়া রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হয়। ৬৭ বছর পর ফের তা টাটাদের হাতেই ফিরে এল।
ঋণগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ১২৭টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া বর্তমানে ৪২ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যায়। দেশে মোট ৪,৪০০টি অভ্যন্তরীণ এবং ১,৮০০টি আন্তর্জাতিক অবতরণ এবং পার্কিং স্লটের পাশাপাশি বিদেশি বিমানবন্দরে ৯০০ স্লটের নিয়ন্ত্রণ পাবে টাটা গোষ্ঠী।
এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীদের চাকরি একবছরের জন্য সুনিশ্চিত। তারপর যাদের যাদের রাখবে না টাটা গোষ্ঠী, তাদের ভলান্টারি রিটায়ারমেন্টের সুযোগ দেওয়া হবে। এছাড়াও সবাই পিএফ, গ্র্যাচুইটি ও মেডিক্যালের সুযোগ পাবেন।
সরকার এয়ার ইন্ডিয়ায় তার সম্পূর্ণ অংশীদারিত্ব বিক্রি করছে। অসামরিক বিমান পরিষেবা ক্ষেত্রে টাটা গ্রুপ নতুন নয়। এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়াতে প্রায় ৮৪% এবং ভিস্তারায় ৫১% শেয়ার আছে টাটা গ্রুপের। ফলে এয়ার ইন্ডিয়া যে বেশ অভিজ্ঞ হাতেই যাচ্ছে, তা বলা যায়।
বিলগ্নিকরণ দফতরের সচিব এদিন বলেন, হস্তান্তরের পর মোট ৪৬,২৬২ কোটি টাকার ঋণ থাকবে এয়ার ইন্ডিয়ার। এই ঋণ এআইএএইচএল(Air India Assets Holding Limited (AIAHL)-এর নামে হবে। চলতি বছর অগস্টের শেষে মোট ঋণ ছিল ৬৫,৫৬২ কোটি টাকা।