‘শুল্ক বসালে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় না’! সুর নরম করে ট্রাম্প এ বার জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা জানালেন

হপ্তা ঘুরতেই চিনা পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা নিয়ে সুর নরম ডোনাল্ড ট্রাম্পের! শুক্রবার তিনি ইঙ্গিত দিলেন, চিনা পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে না। সেই সঙ্গে তাঁর সাফাই, ‘‘আমি শুল্ক চাপাতে চাইনি। শুল্ক চাপালে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় না। কিন্তু ওরা (চিন) আমাকে শুল্ক আরোপ করতে বাধ্য করেছে।”

গত শুক্রবার চিনা পণ্যে ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকার বিরল মৃত্তিকা রফতানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরেই ওই পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি। ১ নভেম্বর থেকে বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর পরে আমেরিকার ১০০ শতাংশ শুল্কের হুঁশিয়ারির পাল্টা দিয়েছিল বেজিং। বলা হয়েছিল, এটা আমেরিকার ‘দ্বিচারিতা’র নিদর্শন। যদি ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের হুমকি কার্যকর করা হয়, তবে পাল্টা পদক্ষেপ করবে চিন।

এর পরে গত সোমবার অবস্থান কিছুটা নরম করে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘চিনকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। সম্মাননীয় প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের সময় একটু খারাপ যাচ্ছিল। গোটা চিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ুক, এটা উনি চান না, আমিও চাই না।’’ সেই সঙ্গে আমেরিকার অবস্থান ব্যাখ্যা করে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘‘আমেরিকা তো চিনকে সাহায্যই করতে চায়, আঘাত করতে নয়!’’ শুক্রবার ট্রাম্প সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছেন। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আমি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আশা করছি আগামী দিনে সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.