এ কী চলছে এই বাংলায়! সম্প্রতি বারবার বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে গণপিটুনির খবর। এমনকী নির্মমতা থেকে কলকাতাও বাদ পড়েনি! এবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থেকে এল অস্থির করা খবর। গয়না চুরির অভিযোগে আক্রান্ত দুই মহিলা ও এক শিশু। ভরা রাস্তায় তিনজনকে বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠেছে উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। পুলিশ এসে আহতদের উদ্ধার করে এ যাত্রায় বাঁচিয়েছে।
এবার আসা যাক মূল ঘটনায়। সোমবার অর্থাৎ আজ দুপুরে তমলুকের নিশ্চিন্তবসান গ্রামের ঘটনা। সেখানকার বাসিন্দা দীপালি বেরার বাড়িতে চুরি করতে আসে দুই মহিলা ও এক বাচ্চা। দিপালীর অভিযোগ দুপুরবেলা তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সময় তিনজন তাঁর বাড়িতে এসেছিল ভিক্ষা চাইতে। তিনি সেই সময় ঘুমোচ্ছিলেন। ঘুম ভাঙতেই তিনি দেখেন যে, দু’জন তাঁর বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তিনি যখন সেই দু’জনের সঙ্গে কথা বলছিলেন, ঠিক তখনই দেখেন যে, আরেকজন বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে। এরপর তিনি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন।
দীপালির চিৎকার শুনে পাড়ার লোকজন বেরিয়ে আসেন ঘর থেকে। এরপর তিনজনকেই হাতেনাতে ধরে ফেলেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের কয়েকজনের দাবি, অভিযুক্তদের ব্য়াগে দীপালির গয়নাও পাওয়া গিয়েছে। এরপর দুই মহিলার হাত পিছমোড়া করে বেঁধে দেওয়া হয় এবং বেদম প্রহারের রাস্তায় হাঁটেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা। তমলুক থানার পুলিশ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। অভিযুক্তদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই নিশ্চিন্তবসান গ্রামে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়। অভিযুক্তদের দলে আরও কেউ আছে কিনা তা আপাতত খতিয়ে দেখছে পুলিস। যদিও গ্রামবাসীরা গণপিটুনির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিসের কাছে।