চিতিরাই সেলভান। বয়স ৭৯ বছর। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। তাঁর স্ত্রীও ছিলেন একই পেশায়। তামিলনাড়ুর সাথানকুলামে তাঁদের বাড়ি। গত ১৭ জুন তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চেন্নাইয়ে ছেলের বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তাঁরা যে ক’দিন বাড়িতে ছিলেন না, সেই ক’দিনের জন্য়ই অস্থায়ী ভাবে একজনকে ঘরদোর পরিষ্কারের দায়িত্ব দিয়েছিলেন।
কাট টু ২৬ জুন। সেলভানরা বাড়িতে ফিরেই দেখেন, সদর দরজা খোলা। এরপর তিনি ঘরে ঢুকে বুঝতে পারেন যে, তাঁদের অবর্তমানে চুরি হয়েছে এই বাড়িতে। ৬০ হাজার টাকা ও ১২ গ্রাম সোনা নিয়ে পালিয়েছে চোর। সঙ্গে খোয়া গিয়েছে এক জোড়া রুপোর নূপুর!
তবে আর পাঁচটি চুরির সঙ্গে এই চুরির বেজায় ফারাক রয়েছে। চোর শুধু চুরি করেই চলে যায়নি। সে একটি খামের উপর কিছু লিখে গিয়েছে। মেগান্নাপুরমের পুলিস তল্লাশিতে উদ্ধার করেছে। সেই খামে লেখা রয়েছে, ‘আমাকে ক্ষমা করে দেবেন, আমি এক মাসের মধ্য়ে সব ফিরিয়ে দেব। আসলে আমার বাড়িতে একজন খুবই অসুস্থ। তার চিকিৎসার জন্য়ই আমি চুরি করেছি।’ পুলিস পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখছে।
এররক ঘটনা দেশে প্রথম নয়।গতবছর কেরালাতেও ঠিক এরকম ঘটনা ঘটেছিল। সেবার চোর সোনার নেকলেস ও টাকা পয়সা চুরি করে, চিঠি দিয়ে গিয়েছিল। এই চুরিগুলিই হয়তো বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় যে, মানুষের অসহায়তা ঠিক কোন জায়গায়! নেহাত আর কোনও উপায় না দেখেই তারা হয়তো পরিবারের মুখ চেয়ে চুরির পথই বেছে নিচ্ছে।